Beanibazarview24.com
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এবারের দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি ক্লাসের প্রথম ছাত্রী নুসরাত আক্তার। ক্লাসের প্রথম হয়েও পরীক্ষা দিতে না পারার ঘটনায় প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষে দায়ী করছেন তার বাবা মুসলেহ উদ্দিন।
জানা গেছে, উপজেলার সুজাউল সিনিয়র ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা থেকে এবারের দাখিল পরীক্ষা (বিজ্ঞান শাখায়) নুসরাত আক্তার বুধবার (৩০ জানুয়ারি) অন্যান্য শিক্ষার্থীর সাথে প্রবেশপত্র নিতে মাদ্রাসায় যায়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রবেশপত্র পায়নি। প্রবেশ পত্র না পেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থী নুসরাত ভেঙে পড়ে। বিষয়টি তার অভিভাবকরা জানতে পারেন। পরদিন তার বাবা মুসলেহ উদ্দিনসহ স্বজনরা মাদ্রাসায় যোগাযোগ করে জানতে পারেন ফরম পূরণে ভুল থাকায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড তার প্রবেশপত্র ইস্যু করেনি।
পরীক্ষার্থী নুসরাত আক্তারের অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতার কারণেই সে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারল না। ভবিষ্যতে ডাক্তারী পড়ার স্বপ্ন নিয়ে সে পড়াশুনা করছিল। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ উদ্দেশ্যমূলকভাবেই তার এমন ক্ষতি করেছেন।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ফয়জুর রহমান বলেন, ‘অনলাইনে ফরম পূরণের সময় অসাবধানতাবশত এই ঘটনা ঘটে। তখন বিষয়টি ধরা পড়েনি। প্রবেশপত্র আসার পর ধরা পড়ে। তাৎক্ষণিক ছাত্রীর অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ করি। ম্যানেজিং কমিটিকে জানাই। প্রবেশপত্র আনার জন্য ঢাকায় বোর্ডে গিয়েছি।
কিন্তু সময় কম থাকায় সম্ভব হয়নি। এই বিষয়ে মাদ্রাসায় গভর্ণিংবডির সভা হয়েছে। অনাকাঙ্খিত এই ঘটনার জন্য প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দু:খ প্রকাশ করেছি। ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যদি এই ঘটনায় কারো ইচ্ছাকৃত গাফিলতি পাওয়া যায় কমিটি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থার সুপারিশ করবে। সে ক্লাসের ১ নম্বর ছাত্রী। আমারও কষ্ট হচ্ছে তার পরীক্ষা দিতে না পারার ঘটনায়। এটা উদ্দেশ্যমূলক নয়।’
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সুহেল মাহমুদ বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই দু:খজনক। এই বিষয়টি ইতিমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ছাত্রীর অভিভাবকের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.