Beanibazarview24.com
কক্সবাজার, ০৪ ফেব্রুয়ারি- হারেসা (১০)। টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং চাকমারকুল ক্যাম্পের ওমর হাশেমের শিশু কন্যা। প্রথমে ক্যাম্প পরিদর্শনের শুরুতে তার সঙ্গে কথোপকথন করেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত ও হলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি।
মিয়ানমারের ওপারে নির্যাতন এবং এপারে অবস্থানের কথা জানতে চান এ দূত। এই শিশুর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা শেষে জি ব্লকের ২৮৫ নম্বর মুজিবুর রহমানের ঘরে যান তিনি। তাদের কাছে মিয়ানমারে নির্যাতনের কথা শোনার পাশাপাশি ক্যাম্পে ত্রাণ পাওয়া না পাওয়ার বিষয়েও কথা বলেন।
এসময় অশ্রুসিক্ত হন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। পরে ব্র্যাকের একটি ক্যাম্পে বসে রোহিঙ্গা দুস্থ ও প্রতিবন্ধী অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেই সঙ্গে তাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সংস্থাগুলো নির্দেশ দেন। পরে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান নেন। এর আগে আজ সোমবার দুপুর ১টার দিকে তিনি ইউএনএইচসিআরের গাড়ি বহর নিয়ে টেকনাফের চাকমারকূল রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আসেন।
জানা যায়, জাতিসংঘের এই বিশেষ দূত প্রথমে চাকমারকূল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লক যান। এরপর জি-ব্লক গিয়ে রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় তিনি বিভিন্ন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের কাছ থেকে মিয়ানমারের সেনা কর্তৃক নির্যাতন, হত্যাকাণ্ড এবং বসত-বাড়ি অগ্নিসংযোগের বর্ণনা শোনেন। এরপর কি কি পদক্ষেপ নিলে তারা স্বদেশে ফিরে যেতে আগ্রহী তার মতামত নেন।
এছাড়া বি-ব্লকের এনজিও সংস্থা ব্র্যাকের স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গেও মত বিনিময় করেন তিনি। এরপর বিকেল ৪টার দিকে তিনি ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে ইনানীতে অবস্থিত হোটেল রয়েল টিউলিপের উদ্দেশ্যে রওনা করেন তিনি।
আগামীকাল মঙ্গলবার উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন অস্থায়ী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে পরিদর্শন করে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি এক সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিবেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, অ্যাঞ্জেলিনা জোলি আজ সোমবার সকালে নভোএয়ারের একটি ফ্লাইটে কক্সবাজারে পৌঁছেন। হলিউড বিখ্যাত এ অভিনেত্রী ২০১২ সাল থেকে ইউএনএইচসিআরের বিশেষ দূত হিসেবে কাজ করছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.