Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

আমেরিকায় অবৈধ অভিবাসীদের প্রবেশ ঠেকাতে মেক্সিকো সীমান্তে ৩ হাজারেরও বেশি মার্কিন সেনা মোতায়েন







অবৈধ অভিবাসীদের প্রবেশ ঠেকাতে মেক্সিকো সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্র আরও তিন হাজার ৭৫০ সেনা সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে যুদ্ধ পরিস্থিতি ছাড়াই মেক্সিকো সীমান্তে মোতায়েন করা মার্কিন সেনা সদস্যদের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে চার হাজার ৩৫০ জনে। আগে থেকেই সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় বর্ডার এজেন্টদের সহায়তায় সেনা সদস্যরা কাজ করছে। কানাডীয় সংবাদমাধ্যম সিবিএস জানিয়েছে, সেনা সদস্যদের ভ্রাম্যমাণ নিরাপত্তা ক্যামেরা ব্যবহার করে সীমান্তে নজর রাখার কথা। মোতায়েন করা কিছু সেনা সদস্য দীর্ঘ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ করছে।



গত অক্টোবর মাসে পেন্টাগন মেক্সিকো সীমান্তে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। নিয়মিত সেনাবাহিনীর এসব সদস্যদের এভাবে মেক্সিকো সীমান্তে পাঠানোর সমালোচনা করেছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কিন্তু গত নভেম্বরের নির্বাচনের আগে ঠিকই তাদেরকে দায়িত্ব পালন শুরু করতে দেখা যায়। এতে অবশ্য খুশি হন রিপাবলিকান পার্টির সংসদ সদস্য ও ট্রাম্প সমর্থকরা।



ট্রাম্প প্রশাসনের ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিক শানাহান গত ১১ জানুয়ারি নতুন করে মার্কিন সেনা সদস্যদের মোতায়েন করার বিষয়টি অনুমোদন করেন। গত বৃহস্পতিবার হাউস অব রিপ্রেজেন্টিটিভের ‘আর্মড সার্ভিসেস কমিটির’ চেয়ারম্যান অ্যাডাম স্মিথের ভাষ্য থেকে প্রথম এ বিষয়ে জানা যায়। কমিটির শুনানিতে এ সংক্রান্ত তথ্য না জানানোয় তিনি সমালোচনা করেছিলেন পেন্টাগনের। তার বক্তব্য থেকেই প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, সাড়ে তিন হাজারের মতো নতুন মার্কিন সেনা মোতায়েন সম্পর্কে।



রবিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় স্বীকার করেছে নতুন করে এই সেনা সদস্যদের পাঠানোর বিষয়ে। তাদের ভাষ্য, মোতায়েন করা মার্কিন সেনা সদস্যরা ভ্রাম্যমাণ নিরাপত্তা ক্যামেরা পরিচালনা করবে অ্যারিজোনা, ক্যালিফোর্নিয়া, নিউ মেক্সিকো, এবং টেক্সাসে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের সেখানে থাকার কথা। আগে থেকে মোতায়েন করা সেনা সদস্যরা ২৪০ কিলোমিটার সীমান্ত জুড়ে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ করছেন।



মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করাকে ট্রাম্প এক মহা সমস্যা হিসেবে দেখেন। এর জন্য নির্বাচনি প্রচারণার সময়ই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত জুড়ে দেয়াল নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের কিছু এলাকায় দেয়াল নির্মিতও হয়েছে। কিন্তু তা সম্পূর্ণ করতে অর্থ বরাদ্দ চান ট্রাম্প। কংগ্রেসে সেই অর্থ বরাদ্দের পক্ষে প্রয়োজনীয় সমর্থন না পাওয়ায় ট্রাম্প জানিয়ে দেন, তিনি কোনও অর্থ বিলে সম্মতি দেবেন না।

এর ফলে দেখা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের অচলাবস্থার (শাট ডাউন)। গত ২৫ জানুয়ারি শেষ হয়েছে ৩৫ দিনের শাট ডাউনের আপাতত সে সংকট কাটলেও ট্রাম্প জানিয়ে রেখেছেন, দেয়াল নির্মাণের অর্থ বরাদ্দ না পেলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে আবারও দেখা দিতে পারে শাট ডাউন অবস্থার। দেয়াল নির্মাণের অর্থের জন্য দরকার হলে তিনি জরুরি অবস্থাও ঘোষণা করতে পারেন।














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.