Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

লন্ডনে ’লাইফ ইনদা ইউক ‘ পরীক্ষায় জালিয়াতি করে যেভাবে ধরা পড়লো বাংলাদেশি কোচিং ব্যবসায়ী (ভিডিওসহ)







ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পরীক্ষায় জালিয়াতি করে পাশ দেয়ার অভিযোগে বাংলাদেই বংশোদ্ভূত মালিকানাধীন একটি সেন্টার ও তার কর্তাব্যক্তি বিরুদ্ধে প্রমাণসহ অভিযোগ এনেছে বিবিসির একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে।

এতে দেখাগেছে পরীক্ষায় নকল সরবরাহের ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছেন এক প্রবাসী বাংলাদেশি। ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত ওই বাংলাদেশির নাম আব্দুল রাজা। তিনি লন্ডনে ‘আইডিয়াল লার্নিং একাডেমি’ নামে একটি কোচিং সেন্টার চালান।



তিনি ব্রিটেনে বসবাসের অনুমতি পাওয়ার পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের কোচিং করাতেন । আর পরীক্ষা চলাকালে তিনি পরীক্ষার্থীদের মোবাইলে ব্লুটুথ এর মাধ্যমে প্রশ্নের উত্তর বলে দিতেন।

বিবিসি বলছে, কেবল আব্দুল রাজার আইডিয়াল লার্নিং একাডেমি নয়, লন্ডনে এরকম আরো বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান আছে। এসব প্রতিষ্ঠান অভিবাসী হতে ইচ্ছুকদের জালিয়াতির মাধ্যমে নাগরিকত্ব পরীক্ষা ” লাইফ ইন দ্যা ইউকে” তে উত্তীর্ণ হওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়।



উল্লেখ্য ব্রিটেনে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ লাভের পর ব্রিটিশ নাগরিকত্ব নিতে হলে আবেদনকারীকে অবশ্যই ‘লাইফ ইন দ্যা ইউকে টেস্ট’ পরিক্ষায় উর্ত্তীন হতে হয়। এই পরিক্ষার বিষয় বস্তুতে থাকে ব্রিটিশ আইন-কানুন, রীতি-নীতি ও প্রথা। ব্রিটেনের দীর্ঘ দিনের ইতিহাস। এ পরীক্ষায় পাস করতে হলে ৪৫ মিনিটের এই পরীক্ষায় ২৪টি প্রশ্নের মধ্যে অন্তত ১৮টির সঠিক উত্তর দিতে হয় পরিক্ষার্থীকে। লেখাপড়া জানা এবং বাস্তবিক জ্ঞান আছে এমন লোক সহজেই পাস করেন এই পরীক্ষা।গত বছর প্রায় দেড় লাখ মানুষ ‘লাইফ ইন দ্য ইউকে’ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। এই পরীক্ষায় প্রতি পাঁচজনের মধ্যে ফেল করেছেন একজন।

মূলত ভিন্ন ভাষার মানুষ যারা ব্রিটেনে স্থায়ী আবাস গড়েন, তাঁদের অনকের ইংরেজি ভীতিকে কাজে লাগিয়ে, তাদের সহায়তার নামে জড়িয়ে পড়েছেন কিছু অসাধু জালিয়াত চক্র।



এর আগে, ইংলিশ ভাষা টেস্ট ‘টোয়েক‘ জালিয়াতির পর ব্রিটেনে মহা বিপদে পড়েছিলেন ৫০ হাজার বিদেশী স্টুডেন্ট। এখনো ভিসাহীন এক দুর্বিষহ জীবন অতিবাহিত করছেন অসংখ্য স্টুডেন্ট। এর রেশ কাটতে না কাটতেই এবার লাইফ ইন দ্যা ইউকে টেস্ট জালিয়াতি হলো।

টোয়েক জালিয়াতির ভুক্তভোগী একজন ফরিদ আহামেদ বুলবুল বলেন, এইসব জালিয়াতি চক্র প্রকৃত শিক্ষার্থী ও পাশ করাদের জীবনকে ও দূর্বিষহ করে তুলেছে। বুলবুল নিজে পরীক্ষা দিয়ে টোয়েক পাশ করার পরও হোম অফিস তাঁর ভিসা বাতিল করে দিয়েছে। দুই বছর যাবত হোম অফিসের সাথে আইনী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এখন লাইফ ইন দ্যা ইউকে ও যদি নির্দিষ্ট সময়ের সব পরীক্ষা বাতিল করে দেয় একই অবস্থায় বিড়ম্বনায় পড়তে হবে প্রকৃত পাশ করা ব্যাক্তিদেরও।



বিবিসির অনুসন্ধানে জানা যায়, লন্ডনের আশেপাশে অবস্থিত কিছু কোচিং সেন্টার প্রার্থীদের দুই হাজার পাউন্ডের বিনিময়ে নকল সরবরাহ করে। এসব প্রতিষ্ঠান পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়তা করার নামে তাদের অবৈধ কার্যক্রম চালায়।
ভিডিওটি দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন…














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.