Beanibazarview24.com
ইথিওপিয়ায় দুটি মসজিদ আগুন দিয়ে পুড়েয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চালে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়ে বিবিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। ইথিওপিয়ার মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ মানুষ মুসলিম হওয়া সত্তেও এমন ঘটনায় বিস্মিত হয়েছেন অনেকেই।
ইথিওপিয়ার আঞ্চলিক ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স সুপ্রিম কাউন্সিল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমহারা প্রদেশের দক্ষিণ গোন্ধার এলাকার এসত নামক স্থানে মসজিদে আগুন দেয়ার হয়।
আন্তঃধর্মীয় দ্বন্দ্ব ও সংঘর্ষ উস্কে দিতেই এইঘটনা ঘটানো হয়েছে।’ শেখ মোহাম্মদ হাসান নামে দেশটির এক কর্মকর্তা বলেন,‘যারা ধর্মকে ব্যবহার করে সারাদেশে অস্থিরতা ও ধ্বংসলীলা ছড়িয়ে দিতে চায়, তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
মসজিদে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনার মাধ্যমে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের একে অপরের দিকে লেলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জুতায় ‘আল্লাহু’ লেখা, মুসলিম বিশ্বের চাপা ক্ষোভ!
আমেরিকার বিখ্যাত বিখ্যাত ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নাইকির জুতায় ‘আল্লাহ’ লেখা থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মুসলিম বিশ্ব।
এই জুতোটি বাজার থেকে প্রত্যাহার করার জন্য বিশ্বের মুসলিমরা দাবি জানিয়েছেন। এ ঘটনাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ এনে নোরিন নামে এক মুসলিম নারী পিটিশন চালু করেছেন।
পিটিশন করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ৬ হাজার ব্যক্তি এতে স্বাক্ষর করেছেন।
পিটিশনের দাবিতে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের বাজার থেকে জুতোটি প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। পিটিশনে তিনি উল্লেখ করেছেন, জুতোয় আল্লাহর নাম বসানোর ক্ষেত্রে নাইকির অনুমতি দেওয়া ভয়ানক ও অপমানজনক।
এটা অবমাননাকর এবং মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত আক্রমণাত্মক এবং ইসলামকে অপমান। প্রসঙ্গত, এর আগে ১৯৯৭ সালে নাইকি’র এয়ার বেকিন নামে স্নিকারের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠেছিল।
ওই সময় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে যুক্তি হিসেবে জানানো হয়, অত্যন্ত নিখুঁতভাবে লোগোর ডিজাইনটা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যার কারণে লেখাটি এমন দেখাচ্ছে। পরে ওই জুতা বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
সূত্র: জাকার্তা পোস্ট
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.