Beanibazarview24.com
ব্রিটেনের বিভিন্ন জালিয়াতির তালিকায় দিনকে দিন বাংলাদেশীদের নাম যুক্ত হচ্ছে। দীর্ঘ হচ্ছে তালিকা। বাড়ছে কমিউনিটির বদনাম। মূলধারার গণমাধ্যম গুলোতে অপরাধীদের নামের পূর্বে বাংলাদেশী বংশদ্ভূত জুড়ে দিয়ে ফলাও করে প্রচার করায় সাধারণ বাংলাদেশী অভিবাসীরা কর্মক্ষেত্রে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে।
সম্প্রতি এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে মাসুদ আব্দুল রেজা নামের এক ব্রিটিশ বাংলাদেশী কোচিং ব্যবসায়ীর নাম। যিনি ব্রিটেনে স্থায়ী বসবাস বা নাগরিকত্ব লাভের অন্যতম “লাইফ ইন দ্যা ইউকে” পরীক্ষায় অর্থের বিনিময়ে পরীক্ষার্থীদের অসৎ উপায় অবলম্বনে সহযোগিতা করেছেন। আবেদনকারীদের পরীক্ষায় পাস করে দিতে তিনি মোবাইল ফোন ও ব্লুটুথের মাধ্যমে সহযোগিতা করতেন। তার সাথে আরো কয়েক বাংলাদেশী যুক্ত।
বিবিসির এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে তাদের নাম এবং পরিচয় উঠে আসে। গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারি সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, এরকম বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, যারা অভিবাসী হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের জালিয়াতির মাধ্যমে পরীক্ষা পাসের ব্যবস্থা করে দেয়।
বিবিসির ধারণকৃত ভিডিওতে পূর্ব লন্ডনে অবস্থিত ‘আইডিয়াল লার্নিং একাডেমির’ পরিচালক আব্দুল রাজাকে বলতে দেখা গেছে, ‘সবকিছুর ব্যবস্থা করা হবে। তারা সব উত্তর বলে দেবে।’ আব্দুল রাজা একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ব্যবসায়ী।
তার মতো আরও অনেকে এমন কাজে জড়িত। বিবিসির এই প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্য সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসির আহমেদ শাহীন ও তার ভগ্নিপতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য এবং মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি আব্দুল বাসিতকে দেখা গেছে। গত বছরের নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে নকল কাগজপত্র দিয়ে ভিসা জালিয়াতির মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকারের ১৩ মিলিয়ন পাউন্ড হাতিয়ে নেয়ায় ৩১ বছরের সাজা হয় চার বাংলাদেশীর।
সম্প্রতি টাওয়ার হ্যামলেটসের বেশ ক’জন বাংলাদেশী বংশদ্ভূত কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তাদেরকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। বর্তমানে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এর আগে সাহেদ আলী নামক এক সাবেক কাউন্সিলরকে হাউজিং জালিয়াতির কারণে দেড় কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.