Beanibazarview24.com
১৩ বছর বয়সী ওই কিশোরীর ধর্ষকের নাম শাহজাহান গাজী। ৬০ বছর বয়সী শাহজাহান রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার শলুয়া সরকারপাড়া মসজিদের ইমাম।
চারঘাটের ফতেপুর ফুরকানিয়া মাদ্রাসায় তিনি শিশুদের আরবি পড়াতেন। উপজেলার কানোছগাড়ী গ্রামে গত ২০ বছর ধরে তিনি বসবাস করতেন। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী। স্থানীয় লোকজন জানান, শাহজাহান গাজী চারটা বিয়ে করেছেন। তার মধ্যে একজনকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। দুইজন মারা গেছেন আর একজন তার সঙ্গে রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার চারঘাট থানার পুলিশ ধর্ষক শাহজাহান গাজীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। আদালতের বিচারক তাকে তিন ঘণ্টা চিন্তা করার সময় দেন।
তারপর বিকেল সাড়ে চারটা থেকে পাঁচটার মধ্যে তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। আদালতে ধর্ষক শাহজাহান গাজী স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে তার দোষ স্বীকার করেছেন এবং বলেছেন, তার শাস্তি হওয়া দরকার।
চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম কিশোরীর বাবার বরাত দিয়ে জানান, মেয়েটি ওই ইমামের কাছে আরবি পড়ত। মাঝে মধ্যেই সে পড়ানোর অজুহাতে বাসায় ডাকতো। তারা সরল মনে কিশোরী মেয়েকে পাঠাতেন। কিন্তু সরলতার সুযোগ নিয়ে ইমাম তার মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বর্তমানে তার মেয়ে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
ওসি আরো জানান, মেয়েটির মা প্রথম বিষয়টি বুঝতে পেরে সম্মানের ভয়ে চেপে যান। পরে সন্দেহ হলে তিনি স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানতে পারেন তার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি মেয়ের বাবা জানতে পারেন। পরদিন তিনি চারঘাট থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে শাহজাহান গাজীকে গ্রেফতার করে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.