Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

সিরিয়া ছাড়তে চায় আইএস’র বাংলাদেশি কিশোরী বধূ







আইএসে যোগ দেওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ স্কুলশিক্ষার্থী শামিমা বেগম আবারও যুক্তরাজ্যে ফিরতে চান। ২০১৫ সালে আইএসে যোগ দিতে সিরিয়া পালানো এই তরুণী ইতোমধ্যে ব্রিটিশ সরকারের কাছে ফেরার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন।

আইএসে যোগ দেওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ স্কুলশিক্ষার্থী শামিমা বেগম



বর্তমানে সিরিয়ার এক শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন শামিমা। সেখানেই এক সাংবাদিক তার সন্ধান পান। গর্ভবতী শামিমা বলেন, তিনি ব্রিটেনে ফিরে যেতে চান নিজের এবং সন্তানের জন্য। তিনি বলেন, ‘আমি আর চার বছর আগের সেই ১৫ বছর বয়সী ছোট স্কুলশিক্ষার্থী নই।’

সিরিয়া পালানোর সিদ্ধান্তে অনুতপ্ত নন বলেও জানান তিনি। শামিমা বলেন, ‘আমি সত্যিই ব্রিটেনে ফিরে যেতে চাই। কারণ, সেখানে আমার সন্তান ভালোভাবে বেড়ে উঠবে। সেজন্য আমি যেকোনও কিছু করতে প্রস্তুত।’



লন্ডনের বেথনেল গ্রিন অ্যাকাডেমি স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন শামিমা। ২০১৫ সালে আমিরা আবাসে ও খাদিজা সুলতানা নামে আরও দুই কিশোরীকে সঙ্গে নিয়ে আইএসে যোগ দেন তিনি। তারা ঘোষণা দেন জিহাদিদের বিয়ে করে তাদের সন্তানকে যুদ্ধে পাঠাবেন তারা। পরিবারকে একদিনের জন্য বাইরে যাওয়া কথা বলে তুরস্ক গিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়ায় প্রবেশ করেন ওই তিন কিশোরী।

শামিমা বলেন, রাকায় পৌঁছে এক ইংরেজি জানা যোদ্ধাকে বিয়ের জন্য আবেদন করেন তিনি। ১০ দিন পর ২৭ বছর বয়সী এক ডাচ নাগরিকের সঙ্গে বিয়ে হয় তারা। তখন থেকেই একসাথে বসবাস করছিলেন দুজন। তার স্বামী সিরীয় সেনাদের কাছে আত্মসমপর্ণ করে। এরপর দুই সপ্তাহ আগে বাঘুজ থেকে পালিয়ে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয় তারা।



এখন ওই শরণার্থী শিবিরে ৩৯ হাজার মানুষের সঙ্গে বসবাস করছেন তারা। সেখান থেকেই টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শামিমা জানান, এর আগে অপুষ্টি ও অসুস্থতার কারণে ‍দুই সন্তানকে হারিয়ে মানসিকভাবে বড় ধাক্কা খেয়েছেন তিনি। তৃতীয় সন্তান এখন গর্ভে। তার কথা চিন্তা করেই বাঘুজ ত্যাগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি দুর্বল ছিলাম। যুদ্ধক্ষেত্রের পরিশ্রম আমি নিতে পারছিলাম না। ভয় হচ্ছিলো আমি থাকলে এই সন্তানটিও আগের দুজনের মতো মারা যেতে পারে।
শামিমা বলেন, আইএসএস ঘাঁটিতে নিপীড়নের ঘটনায় খুবই অবাক হয়েছেন তিনি। তথাকথিত ওই খিলাফত পতনের সম্ভাবনা আঁচ করতে পারছিলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমার কোনও আশা নেই। তারা সব নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। আর সেখানে এত নিপীড়ন ও দুর্নীতি, আমি মনে করি না জয় তাদের প্রাপ্য।’
তিনি বলেন, তার সাবেক সহপাঠী খাদিজা সুলতানা বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন।



ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমস্ত্রী বেন ওয়ালেস বলেন, ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবে যে কারও ফিরে আসার অধিকার রয়েছে। তবে সেটি পুলিশের তদন্ত প্রয়োজন। তিনি বলেন, ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবে তার ফিরে আসার অধিকার রয়েছে। তবে যারা আইএসসহ সশস্ত্র গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং সাজাও হতে পারে। অর্থাৎ আমাদের বার্তা হচ্ছে, কর্মের পরিণাম ভুগতে হবে তাদের।














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.