Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

প্রাথমিকের অফিস সহকারীর ৫ কোটি টাকার বাড়ি







সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক প্রদীপ কুমার মন্ডল। প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ‘বড় বাবু’ নামেই পরিচিত তিনি।

নিয়োগ বাণিজ্য, বদলি বাণিজ্য, ডেপুটেশন বাণিজ্য, পিআরএল ও পেনশন বাণিজ্যসহ জেলা-উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সব অবৈধকাজের সঙ্গে জড়িত এই ‘বড় বাবু’।



জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে ম্যানেজ করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে চালিয়ে যাচ্ছেন সব কাজ। দুর্নীতির টাকায় সাতক্ষীরা শহরে নির্মাণ করেছেন প্রায় ৫ কোটি টাকার বিলাসবহুল বাড়ি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০০ সালে উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক হিসেবে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় যোগদানের মধ্য দিয়ে চাকরি জীবন শুরু করেন প্রদীপ কুমার মন্ডল।



২০০৮ সালে সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক হিসেবে যোগদান করেন তিনি। যোগদানের পরই অফিসের সকল প্রকার নিয়োগ, বদলি, ডেপুটেশন, পিআরএল ও পেনশনসহ বিভিন্ন প্রকার কাজ নিজ আয়ত্তে নেন মন্ডল।

অবশেষে তার বিরুদ্ধে চাকরি দেয়ার নামে লাখ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ, নৈশপ্রহরী নিয়োগ, প্রশ্নপত্র ফাঁস ও শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পাইয়ে দেয়াসহ আরও কিছু লিখিত অভিযোগের তদন্ত হয়।



তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তদন্ত কমিটি তাকে অন্যত্র বদলির সুপারিশ করেন। এরপর ২০১৮ সালের মার্চ মাসে তাকে শ্যামনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে বদলি করা হয়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রদীপ কুমার মন্ডল গত কয়েক বছরে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন। সাতক্ষীরা শহরের পৌরসভায় ২নং ওয়ার্ডের রথখোলা বিলের মধ্যে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেছেন বিলাসবহুল চারতলা বাড়ি।

শ্যামনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে যোগদান করলেও সব মিলিয়ে মাত্র কয়েক দিন অফিস করেছেন প্রদীপ কুমার মন্ডল।



কর্মস্থলে অনুপস্থিতির বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মির্জা মিজানুর রহমান বলেন, প্রদীপ কুমার মাঝেমধ্যে অফিসে আসেন। এ বিষয়ে তাকে বলা হয়েছে। চলতি সপ্তাহ থেকে অফিস করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এসব বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক প্রদীপ কুমার বলেন, অফিসের কিছু কাজে সবসময় জেলা অফিসে থাকতে হয়। সে কারণে উপজেলা অফিসে গিয়ে আমাকে নাও পাওয়া যেতে পারে।



এত অল্প বেতনে কীভাবে পাঁচ কোটি টাকার বিলাসবহুল বাড়ি বানিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে হিসাবরক্ষক বিষয়টি হেসেই উড়িয়ে দেন।

হিসাবরক্ষক প্রদীপ কুমার মন্ডলের কর্মস্থলে অনুপস্থিতির বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, কর্মস্থলে তার অনুপস্থিতির বিষয়টি আমার জানা নেই।
সূত্রঃ জাগোনিউজ২৪.কম














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.