Beanibazarview24.com
কিছু কিছু মানুষ আছেন যাঁদের অনবদ্য অবদানে গর্বিত বিশ্ববাসী। যাঁরা আমাদের অনুপ্রেরনা । যাঁদের দেখে সত্যি বলতে ইচ্ছে করে তুমি হারতে পারো না। তেমনি একজন হলেন জেসিয়া কক্স। যিনি জন্মগত প্রতিবন্ধী।
জন্মের সময় থেকে দুই হাত নেই অথচ তিনি একজন দক্ষ পাইলট। বত্রিশ বছরী এই মেয়েটি আজকের দুনিয়ার এক অনুপ্রেরনা। ভাবতে অবাক লাগলেও জেসি কক্সের জাবনকাহিনী সত্যিই এক আশ্চর্য কাহিনীতেই গাঁথা।
পা ছাড়াই মাত্র চোদ্দো বছর বয়সেই নৃত্য, সাঁতার, মডেলিং-এ পারদর্শী হয়ে ওঠেন। দুই পায়ের মাধ্যমেই শিখেছেন প্লেন চালানো। গাড়ি চালানোও। যদিও ছোটো থেকে পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখেনি কক্স। একরকম নিজস্ব বিবকে তাড়না বা হাঠকারীতেই কয়েক বছর আগে থেকে এরোপ্লেন চালানো শিখেছিলেন। শুধু তাই নয় পা দিয়েই তিনি করেছিলেন অনেক অসাধ্যসাধন।
২০০৮ সালে ব্যাপক ট্রেনিং-এর পর তিনি লাইট স্পোর্টস পাইলট সার্টিফিকেট পান। ২০১১ সালে অনবদ্য পারফরমেন্সের জন্য গিনেস বুকে “ ফার্স্ট আর্মলেস পার্সেন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড এভার টু হ্যাভ অবটেইন এ পাইলট লাইসেন্স” তাঁর নাম স্বর্নাক্ষরে স্থান পায়।
এই বয়সেই কক্স কুড়িটি দেশ ও ছয়টি মহাদেশে নিজের অনুপ্রেরনীয় গল্প ভাগ করার জন্য ভ্রমন করেছেন। যিনি বিশ্বাস করেন শারীরিক অক্ষমতা থাকলেও নিজের জেদ থাকলে বিশ্বজয় অসম্ভব নয়।
কখনই
একা বাইরে বেরোতে পারেন না কক্স। তাঁকে সবসময় সঙ্গ দেন তাঁর স্বামী প্যাট্রিক। যিনি তিন বছর ধরে কক্সের পাশে রয়েছেন।
তবে শুধু কক্সই প্রথম নন। এর আগেও একজন হাত ছাড়াই প্লেন চালিয়েছিলেন এবং তিনিও প্রথম হাত ছাড়া পাইলটের শিরোপা পেয়েছিলেন।
এধরনের ঘটনা সত্যিই অবাক করে, তবে কথাটা ঠিক প্রত্যেকেরই একটি নিজস্ব সহজাত ক্ষমতা থাকে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.