Beanibazarview24.com
এক সময়ে বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন -এই তিন মৌলিক কনা দিয়েই মহাবিশ্ব তৈরি। কিন্তু ১৯৬৭ সালে মার্কিন বিজ্ঞানী মারে-গেলম্যান এর পরীক্ষায় দেখা গেল ইলেকট্রন অভিবাজ্য কনা হলেও প্রোটন ও নিউট্রন তা নয়।তিনি বলেন, কোয়ার্ক নামক আরো ক্ষুদ্র কিছু কনা দিয়ে প্রোটন ও নিউট্রন তৈরি।
কোয়ার্ক ৬ প্রকার। এই ৬ প্রকার বা ফ্লেভারের (আসলে কোন গন্ধ নয়) রয়েছে ৩টি করে কালার (এগুলো ও কোন প্রকৃত রঙ নয়)।
সর্বশেষ কনা সংযোজিত হয়-ভাইল ফার্মিয়ন। জার্মান বিজ্ঞানী হারম্যান ভাইল এরকম কনার ভবিষ্যত বানী করেন, যেটির কোন ভর থাকবে না, তবে চার্জ বহন করবে। সাধারণত ফার্মিয়ন কনাগুলো ভরযুক্ত হয়।তাই ভরবিহীন ভাইল হবে ব্যতিক্রম।
এক সময় বিজ্ঞানীরা নিউট্রিনো কনাকে ভরহীন মনে করতেন। কিন্তু ১৯৯৮ সনে প্রমানিত হয় নিউট্রিনো ভরহীন কনা নয়। তাহলে ভাইল কনা কোনটি?
২০১৩ সালে সার্নের বিজ্ঞানীরা বহুল কাঙ্ক্ষিত হিগস বোসন কনা (যাকে ঈশ্বর কনা ও বলা হয়) খুঁজে পান। এই বিজ্ঞানীরা সাজেশন দিলেন বিশেষ এক প্রক্রিয়ায়, সেই অজ্ঞাত ভাইল কনা পাওয়া যেতে পারে।
সেই পরামর্শ মোতাবেক বাংলাদেশী আমেরিকান বিজ্ঞানী, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জাহিদ হাসান কাজ শুরু করেন। আনন্দের কথা ২০১৫ সালে জার্নাল -“সায়েন্সে ” প্রবন্ধ লিখে তিনি ভাইল কনা আবিস্কারের ঘোষণা দেন।
এর মাধ্যমে ৮৬ বছরের অপেক্ষার অবসান হলো। সত্যেন বোসের পর পদার্থ বিজ্ঞানে কোন বাঙ্গালীর এটি হচ্ছে যুগান্তকারী ও বিস্ময়কর আবিস্কার। এই অসামান্য আবিস্কারের জন্য জাহিদ হাসান নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হবেন বলে সকল মহল প্রত্যাশা করছেন।
তবে সত্যেন বোস কিন্তু বাংলাদেশী ছিলেন না। সে হিসেবে বিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ী প্রথম বাংলাদেশী হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা জাহিদ হাসানের।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.