Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

ছুরি মারলেও সে আমার প্রেমিক, আমি তাকেই ভালোবাসি







রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার যৌনপল্লীতে ভাঙা কাচের টুকরা দিয়ে গলায় আঘাত করে এক যৌনকর্মীকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় যৌনকর্মীর প্রেমিক মামুন মোল্লাকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সকালে আহত অবস্থায় ওই যৌনকর্মীকে উদ্ধার করা হয়। পরে হত্যার চেষ্টাকারী যৌনকর্মীর প্রেমিককে আটক করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।



আটককৃত প্রেমিক মামুন মোল্লা গোয়ালন্দ উপজেলার উত্তর দৌলতদিয়া সামছু মাস্টার পাড়ার মুন্নাফ মোল্লার ছেলে। হামলার শিকার ২৫ বছর বয়সী যৌনকর্মীকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তিনি নড়াইলের নড়াগাতি উপজেলার বাওইসোনা গ্রামের এক রিকশাচালকের মেয়ে।

আহত যৌনকর্মী বলেন, ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজের কথা বলে আমাকে এখানে নিয়ে আসা হয়। এরপর দৌলতদিয়ার যৌনপল্লীতে আমি বসবাস শুরু করি। এখানে বসবাসের সময় আমার সঙ্গে মামুনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মামুনকে একাধিকবার আমাদের বাড়িতে নিয়ে গেছি। সেই সঙ্গে বাড়ির আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে মামুনকে আমার স্বামী হিসেবে পরিচয় করে দিয়েছি। বৃহস্পতিবার সকালে আমাদের দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে আমার গলায় ভাঙা কাচের টুকরা দিয়ে আঘাত করে মামুন। এতে আমি আঘাতপ্রাপ্ত হই। পরে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।



স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার বিষয় নিয়ে প্রেমিক মামুনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই পথে একবার কেউ আসলে তার আর ফিরে যাওয়ার কোনো পথ থাকে না। তাই আমারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার কোনো পথ নেই। মামুনের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই, ছুরি মারলেও সে আমার প্রেমিক, আমি তাকেই ভালোবাসি। তবে অাজ সকালে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিতেই ঘটেছে।



এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের ওসি এজাজ শফি বলেন, সম্প্রতি কয়েকটি মেয়েকে গলাকেটে হতাহতের ঘটনায় দৌলতদিয়ার যৌনপল্লীতে পুলিশের বিশেষ নজরদারি রয়েছে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ওই যৌনকর্মীকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে ওই যৌনকর্মীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পাশাপাশি যৌনকর্মীর প্রেমিক মামুনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসা শেষে ওই যৌনকর্মীকেও থানায় ডাকা হয়।



ওসি এজাজ শফি আরও বলেন, তাদের দুইজনকে থানায় আনলেও প্রেমিকের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দিতে চাইছেন না আহত যৌনকর্মী। এ অবস্থায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। ফলে তাদের দুইজনকে রাজবাড়ী আদালতে পাঠানো হবে। তাদের ব্যাপারে আদালতই সিদ্ধান্ত নেবেন।














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.