Beanibazarview24.com
সন্তান কোলে নিয়ে শ্বশুরবাড়ির দরজায় অবস্থান নিয়েছেন দিপ্তী রানী নামে এক গৃহবধূ। স্বামী ও সন্তানের অধিকার পেতে বুধবার সকালে শ্বশুরবাড়ির দরজায় অবস্থান নেন তিনি। ভোলার লালমোহন উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার লালমোহন বাজারের ব্যবসায়ী কালিপদ বাবুর ছেলে উজ্জল বিয়ে করে এক বছর সংসার করার পর তাদের এক কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। ওই সন্তান ও স্ত্রী দিপ্তীকে কলকাতা রেখে পালিয়ে আসেন স্বামী উজ্জল। এরপরে দ্বিতীয় বিয়ে করে গত ১ মার্চ নতুন স্ত্রী নিয়ে লালমোহন আসেন উজ্জল।
খবর পেয়ে দিপ্তী রানী তার সন্তান নিয়ে বুধবার সকালে লালমোহন এসে স্বামী ও সন্তানের অধিকার পেতে শ্বশুরবাড়ির দরজায় অবস্থান নেন।
জানা গেছে, স্বামীর বাড়ি আসলেও শ্বশুর কালিপদ দাস পুত্রবধূ দিপ্তীকে বরণ করে নেননি। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেছেন গৃহবধূ দিপ্তী।
দিপ্তী বলেন, আমার বাড়ি গাজীপুরে। সেখানে উজ্জলের সঙ্গে পরিচয়ের পর বিয়ে করে এক বছর সংসার করি আমরা। পরে উজ্জল বাবার চাপে আমাকে অস্বীকার করে। শেষ পর্যন্ত ২০১৭ সালের ৪ জুন প্রথমবার গর্ভের সন্তান নিয়ে লালমোহন আসি। ওই সময় উজ্জল পালিয়ে গেলে শ্বশুর কালিপদ বাবুর বাড়ির গেটে অবস্থান করি আমি।
তিনি আরও বলেন, এ নিয়ে প্রায় এক মাস বিভিন্ন নাটকীয়তা শেষে মামলা হলে আদালতের নির্দেশে আমাকে ঘরে তুলে নিতে বাধ্য হন শ্বশুর। পরে উজ্জলকে নিয়ে কলকাতায় যাই। সেখানে আরও এক বছর সংসার করি আমরা। এরই মধ্যে আমাদের সন্তান জন্ম হয়। সন্তানের বয়স সাত মাস হলে উজ্জল আবারও বাবার চাপে আমি ও সন্তানকে রেখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
গতকাল বুধবার সকালে লালমোহনে এসে শ্বশুরের সঙ্গে মুখোমুখি হই আমি। কিন্তু সন্তানসহ আমাকে মেনে নিতে অপারগতা প্রকাশ করে বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাখেন শ্বশুর। শেষ পর্যন্ত সন্তানসহ বন্ধ ঘরের দরজার সামনে অবস্থান নিই আমি।
এ ব্যাপারে উজ্জলের বাবা কালিপদ দাস বলেন, আমার কোনো সন্তান নেই। উজ্জলকে আমি ত্যাজ্য করেছি। এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাই না।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.