Beanibazarview24.com
পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে তোড়জোড় চলছে বিশ্বে। কিছু দেশে দ্রুত হারে জনসংখ্যা বাড়ছে, আবার কিছু দেশে জনসংখ্যা কমছে। পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে সারা বিশ্বের মানুষকে সচেতন করতে তিন বছর ধরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে হান্ড্রেড টোয়েন্টি আন্ডার ফোরটি প্রতিযোগিতা।
অনূর্ধ্ব চল্লিশের ৪০ জন যুবককে তাদের পরিবার পরিকল্পনা-সংক্রান্ত কাজের জন্য বিল গেটস ফাউন্ডেশন এবং জন হপকিন্স স্কুল অব পাবলিক হেলথ কর্তৃক সম্মানিত করা হয়।
২০১৬ সালে এ তালিকায় নাম লিখিয়েছেন বাংলাদেশী তরুণী ইশরাত নাহের ইরিনা।
ইরিনা কাজ করেছিলেন সেক্স এডুকেশন অ্যান্ড মেন্টাল হেলথ নিয়ে। কড়াইল বস্তি, বনানীর টিঅ্যান্ডটি কলোনির বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে গবেষণা করেছেন। তাদের সচেতন করেছেন।
ইরিনা বড় হয়েছেন সিলেটের শ্রীমঙ্গলে। সেখানে ও-লেভেল এবং এ-লেভেল সম্পন্ন করেছেন। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি থেকে ফার্মেসি বিষয়ে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন। এক্সট্রাকারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজের পাশাপাশি পড়াশোনায়ও মনোযোগী ছিলেন ইরিনা।
গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে যেন উন্নত বিশ্বের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করতে পারেন, সে বিষয়ে তার খেয়াল ছিল। তাই স্নাতক তৃতীয় বর্ষে পড়ার সময় থেকে ল্যাবে বসে কাজ করতেন।
আন্তর্জাতিক জার্নালে যেন গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়, সেদিকে নজর রাখেন। শতভাগ বৃত্তির বিষয়েও মনোযোগী ছিলেন। এতে জার্মানির ফ্রেডরিখ শিলার ইউনিভার্সিটি তাকে মাস্টার্সে পড়ার জন্য শতভাগ স্কলারশিপ দেয়। ভর্তি হন বায়োকেমেস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলার সেল বায়োলজিতে।
ইরিনা বলেন -বাংলাদেশ তো শুধু একটা দেশের নাম না, আমার নিজের অস্তিত্বে¡র নাম, একটা অনুভূতির নাম। মুক্তিযুদ্ধের সময় থাকার সৌভাগ্য হয়নি, তবে সেই সময় আমার দাদাকে কিভাবে নির্যাতন করে রাজাকার রা হত্যা করেছিল সে গল্প আব্বুর মুখে শুনেছি, উনি নিজেও অনেক ছোট ছিলেন অনেক।
অনেক দেশের অনেক কিছুই আছে, তবে আমাদের মতো বিজয় দিবস নেই। আর আমার বেড়ে ওঠা সিলেটের শ্রীমঙ্গলে, সেখানেই কেটেছে অনেকগুলো বছর যৌথ পরিবারে।
পরিবারে আম্মু-আব্বু-ভাই-বোন-চাচা-চাচি-কাজিন সবাই আছেন, যারা আমাকে সব সময় সব কাজে অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন।
আগামী মাসেই বিদেশে পাড়ি জমাব উচ্চ শিক্ষা লাভে, সেখানেও নিজের দেশের কাজকে তুলে ধরতে চাই, দেশে এসে নিজের গবেষণাকে নিজের দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে চাই।
জার্মানিতে মাস্টার্সে ভর্তিতে পরামর্শ হিসেবে ইরিনা জানান, ‘এখানে ইংরেজি বা জার্মান- দুই বিষয়ে মাস্টার্স করার সুযোগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সে ভর্তির আবেদনের ক্ষেত্রে স্নাতকে পড়ার সময় থিসিসকে গুরুত্ব দেয়া হয়।
তিনটি জিনিস দরকার হয়। প্রথমত. আগের পরীক্ষার ফলাফল। দ্বিতীয়ত. সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়কে পছন্দ করার কারণ এবং তৃতীয়ত. ভাষা দক্ষতা প্রমাণের জন্য জিআরই, আইইএলটিএস অথবা জার্মান ভাষা পরীক্ষার ফলাফল।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.