Beanibazarview24.com
মসজিদ মাদরাসার নামে বাসে ‘ভিক্ষাগ্রহণ’ বন্ধ হোক। এতে মসজিদ মাদরাসার চরম সম্মানহানী হয়। দান কালেকশন হবে সম্মানজনক তরিকায়। দ্বীনকে লাঞ্ছিত করে ভিক্ষার মাধ্যমে নয়।
এক শ্রেণীর সুবিধাবাদি হুজুর বেশধারীরা এই অকর্মটি করে থাকে এবং এদের অনেকেই শেষ পর্যন্ত গ্রহণকৃত দান মূল ফাণ্ডে জমা দেয় কিনা সন্দেহ! দিন দিন বাসকালেকশন বেড়েই চলছে। রমযান মাসে এদের দৌরাত্ম্য আরো বেড়ে যায়।
দ্বীনকে এভাবে অপমান করার অধিকার কারো নেই। দ্বীনকে লাঞ্ছিত করে দ্বীনপ্রচার কাম্য নয়। তাদের যেখানেই পাওয়া যাবে প্রতিবাদ হোক। আসলেই কোন প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়োগকৃত কিনা যাচাই করা হোক। ভুয়া হলে মাইর যেন মাটিতে না পড়ে। আর সঠিক হলে সেই প্রতিষ্ঠানে ফোন করে প্রতিবাদ জানানো হোক।
মসজিদের জন্য কেন বাসে কালেকশন করতে হবে তা আমার কখনোই বুঝে আসে না!! মসজিদে তো মানুষ এমনিতেই টাকা পয়সা দেয়। মাদরাসায় এক টাকা দিলে মসজিদে দশ টাকা দেয়।
আর যাদের বাসে কালেকশন না করলে মাদরাসা চলে না তাদের মাদরাসা চালানোর দরকার নেই। ‘তারা সবজি ব্যবসা করুক’। টাকা কালেকশনের অনেক স্থান আছে। রাস্তার বাস সেই স্থান নয়।
মসজিদ-মাদরাসার কর্তৃপক্ষের প্রতি আমার অনুরোধ, আলেমদের দ্বারা চাঁদা কালেকশন করাবেন না। তাদেরকে চাঁদা আদায়ের কাজে নিযুক্ত করবেন না। এতে তাদের গুরুত্ব ও মর্যাদা কমে যায়। আমার মত হল, চাঁদা কালেকশনের কাজটি সমাজের ধনাঢ্যশ্রেণি করবেন।
তাদের কালেকশনের প্রভাবও বেশি হবে। কেননা, তারা নিজেরাও দিবেন। আলেমদের ব্যাপারে তো এ ধারণা হবে যে, তারা কেবল অন্যদেরকেই দিতে বলে, নিজেরা কিছুই দেন না। ধনীদের বেলায় এ মন্দ ধারণাটি হবে না। কেননা, যে ব্যক্তি নিজের পকেট থেকে পঞ্চাশ টাকা দান করে সে অন্যের পকেট থেকে পঁচিশ টাকা বের করতে পারে। আর এটা ধনীদের দ্বারা সম্ভব। এ জন্য আলেমদের এ কাজ না করা উচিত।
লেখক: হাসান সিদ্দিকী, শিক্ষক, জামিয়া মদীনাতুল উলূম ভাটারা,ঢাকা।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.