Beanibazarview24.com
ভারতে আসন্ন সাধারণ নির্বাচন রমজানের সময় নির্ধারণ করার পেছনে মুসলিমদের নিয়ে এক ভয়ানক চক্রান্ত করছে সরকার বলে মন্তব্য করেছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস। কয়েকটি রাজ্যে মুসলিমরা যাতে ভোট না-দিতে পারেন, সে কারণেই রোজার মাসে ভোট ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। উল্লেখ পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম সমাজকে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থনের বড় ভিত্তি বলে ধরা হয়।
দলের মুখপাত্র ও কলকাতা শহরের মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, মুসলিম-অধ্যুষিত বিহার, উত্তরপ্রদেশ বা পশ্চিমবঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করা হয়েছে – যাতে ওই সব রাজ্যের মুসলিমদের ভোট থেকে দূরে রাখা যায়। তবে বিজেপি বলছে, সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্য নিয়েই এই সব ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে – এবং দেশের মুসলিম নেতারাও অনেকেই তৃণমূলের অভিযোগকে আমল দিচ্ছেন না।
ভারতের আগামী লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে এবার ভোট হবে নজিরবিহীন সাত দফায় – অর্থাৎ সারা দেশে যে সাতদিন ধরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তার প্রতি দিনই রাজ্যের একাধিক আসনে ভোটগ্রহণ চলবে।
রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি, ২৪টিতে ভোট হবে এই তিনদিনে – আর তৃণমূল কংগ্রেস মনে করছে মুসলিমদের ভোটের বুথ থেকে দূরে রাখতেই এভাবে নির্বাচনী তফসিল স্থির করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বিহার ও উত্তরপ্রদেশের দৃষ্টান্ত দিয়ে তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম বলছেন, এর প্রতিবাদ বাংলার মানুষ ব্যালট দিয়েই করবেন। বিজেপিও বুঝতে পারবে কত ধানে কত চাল! আজকে বিহার, উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে সাত দফায় নির্বাচন করানোর অর্থ হচ্ছে: রমজানের মধ্যে ভোট করাও – যাতে সংখ্যালঘু ভাইবোনেরা ভোট দিতে না-পারে।
তৃণমূল কংগ্রেস আরও মনে করছে, ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ইতিহাস আছে গুজরাটের মতো যে সব রাজ্যে – সেখানে যদি মাত্র একদিনে ভোট করানো যায়, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে সাতদিন ধরে ভোট করানোর বা ভোট প্রক্রিয়াকে রমজান মাস পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়ার কোনও যুক্তিই থাকতে পারে না। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির প্রথম সারির নেত্রী লকেট চ্যাটার্জি বলেন, রমজানের দোহাই দিয়ে তৃণমূল আসলে একটা সাম্প্রদায়িক তাস খেলতে চাইছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.