Beanibazarview24.com
বৃহস্পতিবার দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিকসহ দু’একটি অনলাইন পোর্টালে ‘ছাত্রলীগেই ফিরছেন নুর’- এমন শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যেখানে বলা হয়, শোভন টিএসসিতে গিয়ে নুরকে বুকে জড়িয়ে ধরার পর থেকেই গুঞ্জন উঠেছে ডাকসুর নব নির্বাচিত সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর ছাত্রলীগেই ফিরছেন। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ মহল থেকে ইতিবাচক মনোভাব জানানো হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
কিন্তু, ছাত্রলীগে ফেরার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে সংবাদটিকে উড়িয়ে দিয়েছেন সময়ের সাহসী ছাত্রনেতা নব-নির্বাচিত ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে নুরু বিষয়টি নিজেই পরিস্কার করেছেন। ভিপি নুরু বলেন, বিভিন্ন কথা বিভিন্ন এংঙ্গেলে বলা হয়, আমার কথাটা প্রচার করা হয়েছে। যেমন আজকে যদি আমি বলি, কালের কণ্ঠসহ আমি দেখতে পেলাম দু’একটি অনলাইন পত্রিকা হেডলাইন করেছে যে- ছাত্রলীগেই ফিরছেন নুর। এতদিন আমাকে প্রচার করল জামাত-শিবির, এখন আবার ছাত্রলীগ বানাচ্ছে।
নুরু বলেন, সুতরাং এই ধরণের আমাদেরকে বিভ্রান্ত, সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করার জন্য, হেয় করার জন্য বিভিন্ন ধরণের অপপ্রচার চলছে। এগুলো নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না।
এদিকে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন বাতিল করে তিনদিনের মধ্যে পুনঃতফসিলের দাবি জানিয়েছেন ডাকসু’র নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুরু। শিক্ষার্থীরা চাইলে ভিপি পদে শপথ নিতেও আগ্রহী পুণঃনির্বাচন চাওয়া নুরু। এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যকে দেয়া স্মারকলিপিতে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ও প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যসহ পাঁচ সংগঠনের নেতারা পুণ:নির্বাচনের দাবি জানালেও তা নাকচ করে দেন বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি আখতারুজ্জামান।
অনিয়মের অভিযোগে ডাকসু’র নির্বাচন বাতিল চেয়ে নতুন তফসিলের দাবিতে মঙ্গলবার থেকে ক্যাম্পাসে অনশন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া চার প্রার্থীসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী। একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ও প্রগতিশীল ঐক্যসহ নির্বাচন বর্জনকারীরা। দাবি আদায়ে ৩ দিনের আল্টিমেটামও দেয় বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভ শেষে স্মারকলিপি দিতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কার্যালয়ে যান আন্দোলনকারীরা। এ সময় ডাকসু’র বিতর্কিত নির্বাচন বাতিল করে ৩১শে মার্চের মধ্যে নতুন নির্বাচন এবং নিরীহ শিক্ষার্থীদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান নব-নির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুরু। তবে, ছাত্রলীগের নির্বাচিত প্রার্থী এজিএস সাদ্দাম হোসেনের দাবি, প্রহসনের আন্দোলনে নেমেছে ভোট বর্জনকারীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য আখতারুজ্জামানও জানিয়েছেন, নির্বাচন বাতিলের সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাড়ে চারশ’ শিক্ষাক-কর্মচারির শ্রম ও মেধা খরচে যে নির্বাচন হয়েছে তা সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে আবারও দাবি করেন উপাচার্য। এদিকে,অনিয়মের অভিযোগ থাকা সব হলে পুণ:নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন রোকেয়াহলসহ তিনটি হলের নব নিবার্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
সূত্রঃ সময়ের কণ্ঠস্বর
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.