Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

নিউজিল্যান্ডে হামলাকারীর লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা







নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে ভয়াবহ এই হামলায় হামলাকারীর লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা। হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। আটক ব্যক্তি অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম।

হামলাকারী হামলার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ ভিডিও করেছে। হামলার দুইদিন আগেও তিনি হামলার প্রস্তুতি সম্পর্কে জানিয়েছিলেন। মুসলিমবিদ্বেষী এই যুবক বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) হামলার কথা জানিয়েছিল।



কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে নজরে পড়তে ওই মসজিদে বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা নামাজ পড়তে যেতে পারেন এই লক্ষ্য নিয়ে আজ হামলার পরিকল্পনা করেন বলে ধারণা করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। নিউজিল্যান্ডের গণমাধ্যম সুত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে শুক্রবার (১৫ মার্চ) জুমার নামাজের সময় এই গোলাগুলি শুরু হয়। এক বন্দুকধারী জুম্মার আযানের পর স্থানীয় আল নুর মসজিদে হামলা চালায়। হামলায় অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন। ৩ বাংলাদেশিসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

বাংলাদেশ দলের বাস তখন মসজিদের সামনে। ক্রিকেটাররা বাস থেকে নেমে মসজিদে ঢুকবেন, এমন সময় রক্তাক্ত শরীরের একজন মহিলা ভেতর থেকে টলোমলো পায়ে বেরিয়ে এসে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান।



ক্রিকেটাররা তখনো বুঝতে পারেননি ঘটনা কী। তাঁরা হয়তো মসজিদে ঢুকেই যেতেন, যদি না বাসের পাশের একটা গাড়ি থেকে এক ভদ্রমহিলা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বলতেন, ‘ভেতরে গোলাগুলি হয়েছে। আমার গাড়িতেও গুলি লেগেছে। তোমরা ভেতরে ঢোকো না।’

ক্রিকেটাররা তখন বাসেই অবরুদ্ধ হয়ে আটকা পড়ে থাকেন বেশ কিছুক্ষণ। কারণ পুলিশ ততক্ষণে রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। বাসে বসেই তাঁরা দেখতে পান, মসজিদের সামনে অনেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। অনেকে রক্তাক্ত শরীর নিয়ে বেরিয়ে আসছেন মসজিদ থেকে। যা দেখে আতঙ্কে অস্থির হয়ে পড়েন ক্রিকেটাররা। কারণ বাসে কোনো নিরাপত্তাকর্মী দূরে থাক, স্থানীয় লিয়াজোঁ অফিসারও ছিলেন না।



বাংলাদেশ দলের মসজিদে ঢোকার কথা ছিল দুপুর দেড়টায়। সংবাদ সম্মেলন শেষ করে যেতে যেতে ১টা ৪০ বেজে যায়। বাংলাদেশ দলের বাস আর ২ মিনিট আগে মসজিদে পৌঁছে গেলে ক্রিকেটাররা সন্ত্রাসী হামলার সময় মসজিদের ভেতরেই থাকতেন। তাহলে কী হতে পারত, আর যা দেখেছেন-দুটি মিলিয়ে মুশফিকুর রহিম হাঁটতে হাঁটতেই অঝোরে কাঁদতে শুরু করেন।














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.