Beanibazarview24.com
বেরিয়ে এলো নিউজিল্যান্ড – রীতিমতো এক রকম ঘোষণা দিয়েই নিউজিল্যান্ডের দুই মসজিদে নৃশংস হামলা চালিয়েছিলো অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারান্ট। হামলার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ৭৪ পৃষ্ঠার ইশতেহারও প্রকাশ করে ২৮ বছরের ওই উগ্র মুসলিমবিদ্বেষী অসি নাগরিক। এমনকি নিউজিল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডানকেও ওই ইশতেহার ইমেইল করে সে।
জাসিন্ডার প্রধান প্রেস সচিব অ্যান্ড্রো ক্যাম্পবেলের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানান, হামলার কয়েক মিনিট আগে ওই ইশেতহারসহ একটি মেইল পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
অ্যান্ড্রো ক্যাম্পবেল জানান, একজন কর্মকর্তার অ্যাড্রেসে ইমেইলটি পাঠানো হয়েছিল। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়নি।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও দেশটির স্পিকার এবং অন্যান্য রাজনীতিকদের কাছেও ওই মুসলিমবিদ্বেষী ইশতেহারটি ইমেইল করেছিল খুনি অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারান্ট। ১৬ হাজার ৫০০ শব্দের ওই ইশতেহারে নৃশংস এ হামলার পেছনে নিজের বক্তব্য তুলে ধরে এই অস্ট্রেলীয় নাগরিক। সেখানে মোটা দাগে উঠে আসে মুসলিমবিদ্বেষ, অভিবাসী বিদ্বেষ ও শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদের মতো বিষয়গুলো। মুসলমানদের উসমানীয় খিলাফতের (বর্তমান তুরস্ক) বিরুদ্ধে তৎকালীন ইউরোপীয় খ্রিষ্টানদের বিজয়ের কথাও উল্লেখ করেছে সে।
কথিত ইশতেহারে নিউ জিল্যান্ডের ইতিহাসের এই নৃশংস খুনি দাবি করেছে, শ্বেতাঙ্গরা গণহত্যার শিকার এবং সে যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে দিতে চায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শ্বেতাঙ্গ পরিচয়ের নতুন প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করে মুসলমানদের জন্য একটি ভীতিকর পরিবেশ তৈরিরও আহ্বান জানিয়েছে সে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসলামের বিরুদ্ধে সহিংসতার বিষয়ে ট্যারান্টের এক ধরনের আসক্তি রয়েছে। নরওয়ের আরেক বন্দুকধারী খুনি আন্ড্রেস ব্রেইভিকের সঙ্গে তার গভীর যোগাযোগ ছিল। সে এ হামলা চালানোর জন্য তাকে উসকানি দিয়েছে। ব্রেইভিক ২০১১ সালে নরওয়েতে হামলা চালিয়ে ৭৭ জনকে হত্যা করেছিল।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি পার্কের মসজিদ আল নূর ও শহরতলী লিনউডের মসজিদে হামলা চালায় বন্দুকধারী। এই ঘটনায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে, গুলিবিদ্ধ আরো ৪৮ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.