Beanibazarview24.com
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী জঙ্গির বন্দুক হামলায় ৫০ জন নিহতের ঘটনায় মুসলিম অভিবাসীদেরকেই দায়ী করায় ব্যাপক তোপের মুখে পড়েছেন অস্ট্রেলীয় সিনেটর ফ্রেজার অ্যানিং। চারিদিক থেকে তার এহেন মুসলিম বিদ্বেষের বিরুদ্ধে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
এবার সিনেটর ফ্রেজার অ্যানিংয়ের বহিষ্কার চেয়ে এক অনলাইন পিটিশন করা হয়েছে যাতে ইতিমধ্যেই ১০ লাখ মানুষ সাক্ষর করেছেন। পিটিশনটি মাত্র একদিন পেরিয়ে দ্বিতীয় দিনে পড়েছে। আর ইতোমধ্যেই ১০ লাখ সাক্ষরের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেছে।
সিনেটর ফ্রেজার অ্যানিংকে সরানোর জন্য পিটিশনটি করা হয়েছে চেঞ্জ ডট ওআরজি-তে। ইতিমধ্যেই এক মিলিয়ন অর্থাৎ দশ লাখ মানুষ সাক্ষর করেছেন এই পিটিশনে, সিনেটরকে সরানোর পক্ষে দাবি জানিয়ে। পিটিশনটি ইতোমধ্যেই ইতিহাস গড়ে ফেলেছে।
অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অনলাইন পিটিশনের ঘটনা এটি। অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রীও ওই সিনেটরের উপর ক্ষেপেছেন। সিনেটরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাবার্তা চলছে এবং তাতে সায় আছে প্রধানমন্ত্রীর।
গত শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার পরপরই বিকেলে একটি বিবৃতি দেন ওই অস্ট্রেলীয় সিনেটর। সেখানে তার বক্তব্য ছিল অনেকটা এরকম যে, ক্রাইস্টচার্চ হামলার পেছনে দায়ী মূলত মুসলিম অভিবাসন। তিনি প্রশ্নও রাখেন যে, মুসলিম অভিবাসন ও সহিংসতা যে অঙ্গাঙ্গি জড়িত, ক্রাইস্টচার্চ হামলার পরও কি কেউ তা অস্বীকার করতে পারবে?
ফ্রেজার অ্যানিংয়ের এই অদ্ভুত বিবৃতিতে ক্ষুব্ধ হয় অনেকেই। অনলাইনে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। খোদ অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনও সিনেটরের মুসলিমবিদ্বেষী মন্তব্যের নিন্দা করেন।
পরদিন শনিবার সিনেটর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কথা বলতে আসেন সাংবাদিকদের সাথে। মেলবোর্নের এক আবাসিক এলাকায় সাংবাদিকরা আসে সিনেটরের বক্তব্য শুনতে। গণরোষের কারণে প্রকাশ্যে কোনো জায়গা পাচ্ছিলেন না সিনেটর কথা বলার জন্য। ফলে ঘরের ভেতরেই কথা বলার আয়োজন করতে হয়েছে তাকে।
কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না সিনেটরের। সংবাদ সম্মেলন রুমে যখন সিনেটর অ্যানিং প্রবেশ করে কথা বলা শুরু করেছেন মাত্র, তখনই একটি হাস্যকর কিন্তু অভিনব এক ঘটনা ঘটে। পেছন থেকে এক তরুণ সেই সিনেটরের মাথায় ডিম ছুঁড়ে মারেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.