Beanibazarview24.com
ব্রেক্সিট পরবর্তী নীতি হিসেবে যুক্তরাজ্যের নতুন ‘আন্তর্জাতিক এডুকেশন স্ট্র্যাটেজি’তে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবেন। নতুন এই কৌশলে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে আন্তর্জাতিক প্রতি বছর শিক্ষার্থী নেওয়ার সংখ্যা ৪ লাখ ৬০ হাজার থেকে ৬ লাখে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সামনের বছর গুলোতে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে। এছাড়া এই সিদ্ধান্ত করে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষের পর ৬ মাস চাকরি খোঁজার জন্যও থাকতে পারবেন।
নতুন এই প্রকল্পে সরকারের সঙ্গে কাজ করা সংগঠন ইউনিভার্সিটিস ইউকে ইন্টারন্যাশনাল (ইউইউকে) এর পরিচালক ভিভিয়েন স্টার্ন বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ লাখে উন্নীত করার মানে হচ্ছে সারাবিশ্বের কাছে বার্তা দেওয়া যে: আমরা এখানে তোমাদের চাই।’
এই পরিকল্পনা কাঠামোবদ্ধ রুপ পেলে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরা স্নাতক সম্পন্ন করার আগের তিনমাসও চাকরি খুঁজে শিক্ষা ভিসা থেকে চাকরি ভিসায় পরিবর্তন করতে পারবেন। বর্তমানে এই প্রক্রিয়াটি খুবই কঠিন। আর পিএইচডি শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষে চাকরি খোঁজার জন্য এক বছর থাকতে পারবেন। পড়াশোনা শেষের আগেও পাবেন তিন মাস।
স্ট্র্যাটেজি পোরে বলা হয়, পড়াশোনা পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের কাজে কোনও বাধা থাকবে না।
পড়াশোনা শেষের পর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই ভিসা পরিবর্তনে দুই বছর সময় পাবেন। ব্রিটিশ শিক্ষামন্ত্রী ড্যামিয়েন হিন্ডস বলেন, আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার কারণে আমাদের বৈশ্বিক সহযোগিদের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠন আরও বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করাটা তারই অংশ।
২০৩০ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বার্ষিকভাবে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করার পরিকল্পনায় যুক্তরাজ্যের বার্ষিক আয়ও বেড়ে দাঁড়াবে ৩৫ বিলিয়ন পাউন্ডে। এই পরিকল্পনায় ব্রিটিশ সরকার ‘আন্তর্জাতিক এডুকেশন চ্যাম্পিয়ন’ নামে একটি পদে একজনকে নিয়োগ দেবেন।
ব্রিটিশ চ্যান্সেরর ফিলিপ হ্যামন্ড বলেছিলেন বাংলাদেশের মতো দেশ থেকে পিএইচডি লেভেলের চাকরির আবেদনকারীদের অনেকের সুবিধা তৈরির কথা। তারই কিছুদিন পরে এই নতুন পরিকল্পনার কথা জানালো সরকার।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.