Beanibazarview24.com
আমেরিকার সব গুলো মসজিদে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে । সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার কিসিমির তাকওয়া মসজিদে জুমার সময় কিসিমির শেরিফ গিবসন খুতবার আগে বক্তব্য রাখেন । তিনি দু:খ প্রকাশ করে বলেন মুসলিম সিটিজেনদের নিরাপত্তায় সব ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার সবগুলো মসজিদে পুলিশ প্রহরা বিদ্যমান। ক্যালিফোর্নিয়ায় আমেরিকানরা মানব বেষ্টনী দিয়ে নামাজ চলা কালিন মসজিদ পাহারা দেন।
নিউজিল্যান্ডে ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার একটি মসজিদে নামাজের সময় পাহারার ব্যবস্থা করেছে স্থানীয় অমুসলিমরা। পাহাড়া দেয়ার কিছু ছবিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। উদোক্তাদের প্রশংসা জানাচ্ছে নেটিজেনরা।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত সংবাদ খুঁজে না পেলেও স্থানীয় অনেক গণমাধ্যমেই এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ হয়েছে। এরকমই একটি স্থানীয় পত্রিকার খবর বঙ্গানুবাদ করে দেখা গেছে- সেখানে বলা হয়েছে, উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ডে মসজিদটি অবস্থিত।
দিতিয়া ডেইনস নামে এক টুইটার ব্যবহারকারী ছবিগুলো আপলোড করে লিখেছেন, মসজিদটিতে ঘটনার পর থেকে মুসলিমরা যখন নামাজে দাঁড়ান। মসজিদের বাইরে অমুসলিমরা লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থেকে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।
তিনি আরো লিখেন, চলুন শান্তি এবং ভালোবাসা ছড়িয়ে দেই।
স্থানীয় পত্রিকাটির খবরে আরো বলা হয়, এই অঞ্চলটিতে দীর্ঘদিন ধরেই মুসলিম, খ্রিস্টান এবং ইহুদিরা সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে আসছেন। তারা একে অপরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে থাকেন। এমনকি তাদের এই সম্পর্কটার নামই পড়ে গেছে ‘বিশ্বাসের ত্রয়ী’ (ফেইথ ট্রাইও)।
স্থানী আইজ্যাক টিএম লাট্টু নামে এক ব্যক্তি বলেছেন, ‘স্কুলজীবন থেকেই আমি মুসলিম, খ্রিস্টান ও ইহুদিদের একসঙ্গে থাকতে দেখেছি। এটা বিশ্বাসের ত্রয়ী। মসজিদটি অকল্যান্ডে। এমনকি আমিও এখন মুসলিমদেরই একজন হয়ে গেছি। আমাদের এই বন্ধনের জন্য আমি গর্বিত।
গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত ব্রেন্টন ট্যারেন্ট বন্দুক হামলা চালায়। এতে ৪ বাংলাদেশীসহ ৫০ জনের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরো অন্তত ৪৯ জন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.