Beanibazarview24.com
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা পোষণ করেছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
রোববার (২৪ মার্চ) দুপুর ১২ টার দিকে চৌহাট্টায় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা করে একাত্মতা পোষণ করেন। এসময় তিনি চালক ও হেলপারের শাস্তি দাবি করেন।
এর আগে সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুুষ তাদের সাথে একাত্বত্মা পোষণ করেন। এদিকে সকাল ১১টার দিকে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ওয়াসিমের সহপাঠীরা। পরে তারা নগরীর চৌহাট্টায় অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখেন।
এসময় তারা ‘দূর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’, ‘ওয়াসিম হত্যার বিচার চাই’, ‘আমার ভাই মরলো কেনো, বিচার চাই, নিরাপদ সড়ক চাই’ এমন নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
এছাড়া বাস চালক ও হেল্পারকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফাসি কার্যকর, ঘাতক ‘উদার’ পরিবহন বাসের রুট পারমিট ও লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানান। এদিকে হত্যার প্রতিবাদে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ধরণের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, শনিবার বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শেরপুর নামক স্থানে বাসের হেলপার ও চালক মিলে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দিয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ওয়াসিম আফনান (২২) কে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয় উদার পরিবহনের ওই বাস চালক ও হেলপার। বাঁচার জন্য অনেকক্ষণ লড়াই করে অবশেষে ওয়াসিম বাস চাপায় মারা যায়।
ওয়াসিম আফনান (২২) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের ফাইনাল পরীক্ষার ফল প্রার্থী। সে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলাস্থ দেবপাড়া ইউনিয়নের রুদ্র গ্রামের মো. আবু জাহেদ মাহবুব ও মা ডা. মীনা পারভিন দম্পতির ছেলে।
নিহতের সহপাঠীরা জানান, সিলেট-ময়মনসিংহ সড়কে চলাচল করা উদার পরিবহন নামে একটি বাসের চালক ও হেলপারের সঙ্গে সিকৃবি’র কয়েকজন ছাত্রের বাকবিতণ্ডা হয়। শিক্ষার্থীরা সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে নামতে চাইলে বাস থেকে কয়েকজনকে নামিয়ে দিয়েই দ্রুত গতিতে চলতে থাকে।
এ সময় ওয়াসিম বাসের দরজার হাতল ধরে ঝুলতে থাকলে হেলপার গাড়ির দরজা লাগিয়ে দেন এবং চালক বাস না থামিয়ে চালাতে থাকেন। এতে ওয়াসিম বাসের নিচে চাপা পড়েন। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওয়াসিমকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর বাসটিকে ধাওয়া করে ওসমানী নগরের বেগমগঞ্জ থেকে আটক করে পুলিশ। এ সময় চালক চালক ও হেলপার পালিয়ে গেলেও শনিবার রাত ১০ টার দিকে পুলিশ বাসচালক জুয়েল আহমদকে কে আটক করে। এরপর রাত ১ টার দিকে হেলপার মাসুক আলীকেও আটক করে পুলিশ।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.