Beanibazarview24.com
রাজধানীর নর্দ্দা এলাকায় ১৯ মার্চ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাসচাপায় নিহত হয় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে ওঠার সময় যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে সুপ্রভাত নামের একটি বাস তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। সম্প্রতি এ দুর্ঘটনার সময়কার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে।
এতে দেখা যায়, গেট লাগানো অবস্থায় সু-প্রভাত পরিবহনের বাসটি আবরারকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। আবরারের মরদেহ ছিটকে পড়ে সামনে। ব্যাগটি সেখানেই পড়েছিল। তার নিথর দেহটি এক মিনিট সেখানে পড়েছিল। একজন পথচারী সড়কের মাঝে গিয়ে সাহায্যের জন্য ডাকলেও কেউ আসেনি। আশপাশে কেউ গাড়িও থামায়নি। প্রায় ৭০ সেকেন্ড পর আশপাশের কয়েকজন মরদেহের সামনে এসে দাঁড়ায়।
পুলিশ জানায়, বেপরোয়া গতির সু-প্রভাত পরিবহনের বাসটি (ঢাকা-মেট্রো-ব-১১-৪১৩৫) প্রথমে শাহজাদপুরের বাঁশতলা এলাকায় মিরপুর আইডিয়াল গার্লস ল্যাবরেটরি কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সিনথীয়া সুলতানাকে চাপা দিয়ে গুরুতর জখম করে। এরপর বাসের যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে চালক সিরাজুল ইসলামকে আটক করে ট্রাফিক পুলিশে হস্তান্তর করে।
তবে বাস মালিকের নির্দেশে কনডাক্টর ইয়াসিন বাসটি নিয়ে পালানোর চেষ্টার সময় চাপা দেয় আবরারকে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান এই শিক্ষার্থী।
এ ঘটনার পর ফের নিরাপদ সড়িকের দাবিতে ফের আন্দোলনে নামে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। নিরাপদ সড়ক ও ঘাতক চালকের ফাঁসির দাবিসহ ৮ দফা দাবিতে দুই দিন রাজ পথে থেকে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
এরপর ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বিইউপির ভিসিসহ প্রশাসনের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বৈঠক হয়। বৈঠকে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি দাবি উত্থাপন করা হয়।
ছাত্রদের দাবিগুলো মেয়রের বিবেচনার আশ্বাসে আগামী ২৮ মার্চ পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।
ভিডিও দেখুন এখানে-
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.