Beanibazarview24.com
সমকামিতার সাজা হিসেবে কঠোর মৃত্যুদণ্ডের আইন চালু হতে যাচ্ছে ব্রুনাইতে। আগামী সপ্তাহেই এই আইন কার্যকর করতে যাচ্ছে সেদেশের সরকার। ব্রিটিশ সংবাদপত্র ডেইলি মেইল বুধবার জানায়, তেল সমৃদ্ধ ছোট্ট দেশটিতে ইতিমধ্যে শরীয়া আইনের আওতায় সমকামিতার জন্য দশ বছর কারাদণ্ডের বিধান চালু আছে।
কিন্তু আগামী মাসের প্রথম থেকে দেশটির সরকার পেনাল কোড সংশোধনের পরিকল্পনা করছে। এই পরিবর্তনের ফলে সমকামীদেরকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা বা চাবুক মেরে হত্যা করা যাবে এবং চোরদের অঙ্গচ্ছেদ করা যাবে।
ডেইলি মেইল জানায়, মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ব্রুনাইয়ের এই পরিকল্পনার কঠোর সমালোচনা করেছে। সমকামিতাকে অপরাধ বিবেচনা করে দেয়া ইসলামী শাস্তির বিধানকে ‘বিদ্বেষপূর্ণ’ হিসেবে অভিহিত করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটি।
পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে ২০১৪ সালে ইসলামি ক্রিমিনাল ল’ বা দণ্ডবিধি চালু করে ব্রুনাই। এই আইনের আওতায় বিবাহবহির্ভূত গর্ভধারণ এবং জুমার নামাজ বাদ দেয়ার জন্য কারাদণ্ডের বিধান চালু করা হয়।
সমকামিতার জন্য দশ বছর কারাদণ্ডের ব্যবস্থা আগে থেকেই ছিল ব্রুনাইতে। সংশোধিত আইনের আওতায় ব্যাভিচার, পায়ুকাম, ও ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত মুসলিমদেরকে চাবুক মেরে বা পাথর ছুঁড়ে হত্যা করা যাবে বলা জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
শিশুদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য এই নতুন শাস্তিগুলো ব্রুনাইয়ের শরীয়া পেনাল কোডের নতুন ধারায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে এবং আগামী ৩ এপ্রিল থেকে এগুলো বলবৎ করা হবে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.