Beanibazarview24.com
শিগগির বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন আর্সেনালের জার্মান মিডফিল্ডার মেসুত ওজিল। দীর্ঘদিনের বান্ধবী ও বাগদত্তা এমিনে গুলসের সঙ্গেই গাঁটছাড়া বাঁধছেন তিনি। বহুল প্রতীক্ষিত এ বিয়েতে অতিথি হিসেবে দেখা যেতে পারে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানকে।
জার্মানির হয়ে খেললেও জাতিতে তুর্কি ওজিল। তার হবু স্ত্রীও তুর্কি বংশোদ্ভূত। পেশায় মডেল ও অভিনেত্রী গুলসে অবশ্য সুইডেনের নাগরিক। ২০১৪ সালে ‘মিস তুর্কি’ নির্বাচিত হন তিনি। একই বছর ‘মিস ওয়ার্ল্ড-২০১৪’এ অংশ নেন এ তরুণী। ওজিলের সঙ্গে তার সম্পর্ক দীর্ঘদিনেরও। ২০১৭ সাল থেকে লন্ডনে একসঙ্গে বসবাস করছেন তারা।
তুরস্কে ওজিলের মতোই ব্যাপক জনপ্রিয় গুলসে। তাদের বিয়ে নিয়ে দেশটিতে চলছে ব্যাপক উন্মাদনা। উৎসবের আমেজ পড়ে গেছে। দুজনের সঙ্গে আবার এরদোগানের মধুর সম্পর্ক।
গেল সপ্তাহে সাক্ষাৎ করে তুর্কি প্রেসিডেন্টের হাতে বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র তুলে দেন ওজিল ও গুলসে। তাদের আশীর্বাদ করেন এরদোগান। আলোচিত বিয়েতে উপস্থিত হওয়ারও ইঙ্গিত দেন তিনি।
গেল বছর বর্ণবৈষম্য ও অসম্মানের অভিযোগ এনে জার্মানি জাতীয় দল থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ওজিল। এর নেপথ্যেও ছিলেন এরদোগান।
রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে তুরস্ক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ওজিল। পরে এর একটি ভিডিও ক্লিপ নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন তিনি। তাতে দেখা যায়, এরদোগানকে আর্সেনালের জার্সি উপহার দিচ্ছেন আর্সেনাল মিডফিল্ডার।
বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেননি জার্মানরা। ডানপন্থী রাজনীতির কারণে এরদোগানের ভাবমূর্তি নিয়ে পশ্চিমাবিশ্বে প্রশ্ন আছে। এমন একজনের সঙ্গে ছবি তোলায় জার্মানদের মূল্যবোধ নষ্টের অভিযোগ তোলা হয় ওজিলের বিরুদ্ধে। তবু তাকে বিশ্বকাপের দলে রাখেন কোচ জোয়াকিম লো।
বিপত্তিটি বাধে প্রথম রাউন্ড থেকে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা বিদায় নিলে। ব্যর্থতার দায় এসে পড়ে ওজিলের কাঁধে। ফলে উগ্র সমর্থকদের কাছ থেকে ঘৃণিত বার্তা হতে শুরু করে মৃত্যু হুমকিও পান তিনি। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে জাতীয় দল থেকে অবসর নেন ২৯ বছরের মিডফিল্ডার।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.