Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

‘মা নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, দম নিতে পারছি না’ আমাকে মাফ করে দিও







মা তুমি শ্রেষ্ট তোমার তুলনা কিছুর সাথে হয় না। কষ্টে তোমার কথাই বেশি মনে হচ্ছে। খুব কষ্ট হচ্ছে মা, এমন আকুতির কথাই জানাল এফ আর টাওয়ারে আগুনে আটকে পড়া এক সন্তানের কথপোকথন মায়ের সাথে। যে সন্তান মায়ের কাছে তার আকুতি প্রকাশ করেছেন ফোনের মাধ্যমে। মা তারপর সন্তানের মঙ্গলের জন্য দুই রাকাত নফল নামায আদায় করেছ, যা পারিবারিক সূত্রে জানা যায়। এর কিছুক্ষণ পর মা সন্তানকে দেখার জন্য ঘটনা স্থলে হাজির হন।



বনানীর ১৭ নম্বর রোডে এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ জন মারাগেছে এবং বহু আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল ও কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট। যোগ দিয়েছেন বিমানবাহিনী, নৌবাহিনীর সদস্যরাও।

ওই ভবনে আটকা পড়েছেন অনেকে। তাদের মধ্যে একনের নাম ফাহাদ ইবনে কবীর। মৃত্যুর মুখোমুখি ওই যুবক ফোন দেন মা ফরিদা ইয়াসমিনের কাছে। ফোন করে মাকে জানান, ভেতরে আগুনের ধোঁয়ায় তার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তিনি দম নিতে পারছেন না।



ছেলের সঙ্গে কথা বলার পরপরই মা ফরিদা ইয়াসমিন ছুটে আসেন এফ আর টাওয়ারের নিচে। সেখানে ছেলের সন্ধানে তিনি আর্তনাদ শুরু করেন। ফরিদা ইয়াসমিন ঢাকায় ছেলের সঙ্গে থাকতেন।

ফরিদা ইয়াসমিন আর্তনাদ করে বলেন, ‘ছেলের সঙ্গে এক ঘণ্টা আগেও আমার কথা হয়েছে। এখন তার মুঠোফোন নম্বর বন্ধ পাচ্ছি। জানিনা ছেলের ভাগ্যে কি ঘটেছে।’

তিনি জানান, তার ছেলে ১২ তলায় ডাট গ্রুপে কাজ করতেন। তিনি সেখানকার আইটি ইঞ্জিনিয়ার। ফাহাদের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের ভবানীপুরে। দুই ভাইয়ের মধ্যে ফাহাদ ছোট।



বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে এফআর টাওয়ারের ৯ তলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে এ আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে।

এদিকে ২২তলা ভবনটিকে আটকা পড়েছেন অনেকেই। তাদের মধ্যে কেউ কেউ লাফিয়ে পড়ে প্রাণে বাঁচার চেষ্টা করছেন। এ রকম আহত কয়েকজনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।



লাফিয়ে পড়ে আহত শ্রীলংকার এক নাগরিককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।

আগুন ভবনে ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কিত লোকজন জানালা দিয়ে বাঁচার আকুতি জানাচ্ছেন। তাদের অনেককেই চিৎকার করতে শোনা গেছে। আগুনের ক্ষতির পরিমাণ ও কীভাবে আগুন লেগেছে তাৎক্ষণিকভাবে সে সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি।














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.