Beanibazarview24.com
৩১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য তুরস্কের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পরই সিরিয়া ইস্যুর মীমাংসা করা হবে এবং সেটি হবে সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে। এমন হুঙ্কার দিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। শনিবার স্থানীয় সরকার নির্বাচন উপলক্ষে এক সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
তুরস্কের ইংরেজী দৈনিক ডেইলি সাবাহ জানিয়েছে, ঐতিহাসিক রাজধানী ইস্তাম্বুলে একে পার্টির ওই সমাবেশে এরদোগান বলেন, দক্ষিণ সীমান্তে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি গড়ার কোন সুযোগ আমরা দেবন না। তিনি বলেন, তুরস্ক এ বিষয়ে সরাসরি অ্যাকশনে যাবে। কোন আলোচনা কিংবা সংলাপ নয়।
নির্বাচনের ঠিক একদিন আগে এরদোগান বলেন, ‘নির্বাচনের পর প্রথম কাজ হলো- আমরা নিশ্চিতভাবে সিরিয়া ইস্যুর সমাধান করব মাঠে, টেবিলে নয়।’
সিরিয়ার তুর্কি সীমান্ত অঞ্চলে কুর্দিপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠি পিকেকে সিরীয় শাখা ওয়াইপিজিরর ঘাঁটি। তুরস্ক পিকেকে ওয়াইপিজিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা গড়ে। গোষ্ঠিটি তুরস্কের অভ্যান্তরে বেশ কয়েকবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। এই গোষ্ঠিটিকে দমন করতেই সরাসরি অ্যাকশনে নামার হুঙ্কার দিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
এর আগে কুর্দিদের বিপক্ষে উত্তর সিরিয়ায় দু’দফা সামরিক অভিযান চালিয়েছিল তুরস্ক। ২০১৬ সালে অপারেশন ইউফ্রেটাস শেইল্ড ও ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে চালানো হয়েছে অপারেশন অলিভ ব্রাঞ্চ।
দুটি অভিযানেরই লক্ষ্য ছিলে ওয়াইপিজি ও আইএস দমন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বরবারই বলছেন, তুরস্কের সীমান্তে উগ্রবাদীদের কোন ঘাঁটি গড়তে দেয়া হবে না। সেটি অন্য দেশের ভূখণ্ডে হলেও। আর এজন্যই সিরীয় সরকারের অনুমোদন ছাড়াই তারা সিরিয়ার আফরিন এলাকায় বড় ধরেন সামরিক অভিযান চালায় গত বছর জানুয়ারিতে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.