Beanibazarview24.com
সমকামী ও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে (পরকীয়া) অপরাধ হিসেবে গণ্য করে এই ধরণের অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ডের মতো ভয়াবহ এক শাস্তির বিধান চালু করতে চলেছে এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র ব্রুনাই। গণমাধ্যমে খবর, সংসদে নতুন আইন পাশ করানোর পর ৩ এপ্রিল থেকেই দেশটিতে এই শাস্তি কার্যকর হচ্ছে।
যদিও ব্রুনাইয়ের অ্যাটর্নি জেনারেলের ওয়েবসাইটে এই ঘোষণার পর থেকে যথারীতি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-সহ একাধিক মানবাধিকার সংগঠন বিরোধিতায় নেমেছে। ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর, এশিয়ার বোর্নিও দ্বীপাঞ্চলে একটি ছোট্ট রাষ্ট্র ব্রুনাই।
দেশটিতে ২০১৪ সাল থেকে শরিয়াহ আইন চালু হয়। প্রতিবেশী মুসলিম দেশে ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ার প্রভাবে ব্রুনাই শরিয়াহ আইন চালু করে। তবে ওই দুই দেশের তুলনায় তেল-সমৃদ্ধ এই ছোট্ট দেশটি অনেক বেশি ধর্মীয় গোঁড়ামি বলে পরিচিত। নামে প্রধানমন্ত্রী থাকলেও, আইন সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেন সেখানকার সুলতান পদমর্যাদার ব্যক্তিই।
খবরে বলা হয়, মুসলিম অধ্যুষিত ব্রুনাইয়ে একাধিক বিষয়ে তারা অনেক ক্ষেত্রেই কড়া শাস্তির আইন চালু করেছে। মদ বিক্রি থেকে মদ্যপান সবটাই নিষিদ্ধ সেখানে। সাম্প্রতিক আইনটি অর্থাৎ সমকামী অথবা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের শাস্তি হিসেবে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলার দণ্ড সবচেয়ে ভয়াবহ বলে মনে করছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
এদিকে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালে ব্রুনাইয়ের গবেষক ব়্যাচেল চো হাওয়ার্ড বলছেন, ‘ব্রুনেই প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে এই ভয়ংকর আইন পাশ হওয়া স্থগিত করা। দণ্ডবিধি করতে হবে মানবাধিকার লঙ্ঘন না করে। কিন্তু তা মানছে না এই দেশটি। আন্তর্জাতিক মহল এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।’
যদিও এসব কথা বিশেষ কানে তুলছেন না ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসান-অল-বলকিয়া। তার কথায়, ‘আমাদের এই আইনকে কেউ সমর্থন করতে পারে, বা না-ই পারে। কিন্ত আমি নিশ্চিত, অন্যরা আমাদের যেভাবে শ্রদ্ধা করে, সেই শ্রদ্ধা অটুটই থাকবে। এতে আমাদের নিয়ে ধারণা কারও বদলে যাবে না।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.