Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

যুদ্ধ করতে শিশুদের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে সৌদি জোট!







দরিদ্রপীড়িত ইয়েমেনে মিথ্যা চাকরির প্রলোভনে ফেলে অনাথ ও অভাবগ্রস্ত শিশুদের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে সৌদি জোট। তারা শিশুদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে চলা যুদ্ধে তাদের অংশগ্রহণে বাধ্য করছে। বিশ্লেষকরা বলছে, যা শিশুদের প্রতি আন্তর্জাতিক অস্ত্র আইন লঙ্ঘিত হচ্ছে।

আল জাজিরার এক বিশেষ সংবাদের বরাত দিয়ে বুধবার তুরস্কভিত্তিক গণমাধ্যম ইয়েনি শাফাক জানায়, সৌদি আরবের ইয়েমেন সামরিক ইউনিটগুলোতে রান্নাঘরে কাজ করে প্রতি মাসে ৮০০ ডলার আয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে অভাবগ্রস্ত ও পথশিশুদের দক্ষিণাঞ্চলে নিয়োগ দিচ্ছে। সেখানে তাদের অস্ত্র প্রশিক্ষণে বাধ্য করা হচ্ছে।



প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ২০১৮ সালের শেষের দিকে ১৬ বছর বয়সী কিশোর আহমদ আল-নকিব নির্বাচনী ক্যাম্প থেকে পালিয়ে এসেছে। ওই কিশোর বলছে, আমরা রান্নাঘরে কাজ করে সৌদি আরবের ৩ হাজার রিয়েল (৮০০) ডলার আয় করতে এটি বিশ্বাস করে বাসে করে সেখানে যাই।

আহমদ বলে, শিশুদেরকে ইয়েমেনের আল-বুকায় একটি নিয়োগ ক্যাম্পে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এলাকাটি হুথি ও সৌদি জোটের মধ্যে সংঘর্ষপূর্ণ। যেখানে যুদ্ধের চিহ্ন রয়েছে।

প্রতিবদেনটিতে উল্লেখ করা হয়, দুর্ভাগ্যবশত, আহমেদ ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে তার মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়।



শিশুরা কি সৌদি আরব রক্ষা করবে?

আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ১৫ বছর বয়সী মোহাম্মদ আলী হামিদের বাবা বলেন, আমার ছেলেকে পাঁচ মাস আগে নির্বাচনী ক্যাম্পে পাঠানোর পর আর ফিরে আসেনি।

মোহাম্মদের বাবা বলেন, তারা সৌদি আরব রক্ষার জন্য তাদের যুদ্ধে নিয়ে যায়। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, যেমন এই সন্তানরা যদি রাজ্যের রক্ষাকারী হয়, তাহলে তাদের অস্ত্র ও বিমান কোথায়?



তার মা সন্তান শোকে বিধ্বস্ত। তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা শুধু জানাতে চাই সে বেঁচে আছে না মারা গেছে।

সৌদি আরব বিরুদ্ধে ইয়েমেনে যুদ্ধের জন্য সুদানের দারফুরের শিশু সেনাদের নিয়োগের অভিযোগ রয়েছে।

২০১৪ সাল থেকে ইয়েমেন হুথি বিদ্রোহীদের দমন করা চেষ্টা করে আসছে। ২০১৫ সালে এর তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। যখন সৌদি জোট বিভৎস বিমান হামলা চালায়।

এ যুদ্ধে দেশটির মৌলিক অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে যায়। ভেঙে পড়ে পানি এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা। জাতিসংঘ বর্তমান সময়ে এ ধরনের ঘটনাকে সবচেয়ে খারাপ মানবিক বিপর্যয় বলে উল্লেখ করে।














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.