Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

নিখোঁজের অভিনয় করেন নাফিসা, তাকে খুঁজতে গিয়ে সমস্ত বাংলাদেশ তোলপাড়!







নিখোঁজ হওয়ার ৩৮ ঘণ্টা পর পুলিশি অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে ইডেন কলেজের বিবিএস’র ছাত্রী সেই নাফিসা নেওয়াজ বিন্দুকে। নিখোঁজ বিন্দুকে নিয়ে বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী দেশের সোশ্যাল মিডিয়া সরগরম ছিল।

নিখোঁজ বিন্দুকে নিয়ে বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত থেকে দেশের সোশ্যাল মিডিয়া সরগরম ছিল। তার ফুফাতো বোন সর্বপ্রথম এ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। যা কয়েক ঘন্টায়ই ভাইরাল হয়ে যায়।



সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি বেশ সাড়া ফেলে দেয়। আর এরপর দীর্ঘ ৩৮ ঘণ্টা পর বিন্দুকে তার এক বান্ধবীর বাসা (হোস্টেল) থেকে উদ্ধার করা হয়।

বিন্দুকে উদ্ধারের পর বিষয়টি নিয়ে কথা হয় তার বাবা আব্দুল বাতেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বিন্দু রাগ করে ওর এক বান্ধবীর বাসায় আত্মগোপনে ছিলো। অন্য কোন বিষয় নেই। ওর মার সাথে যে কোন বিষয় ওর একটু রাগারাগি হয় আর তাই ও এ কাণ্ড ঘটিয়েছে। আমি সেসময় বাসায় ছিলাম না। তাহলে হয়তো এ ঘটনা ঘটত না।’



নাফিসা নেওয়াজ বিন্দুকে উদ্ধার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী নেওয়াজ বলেন, ‘ইডেনের ছাত্রী বিন্দু তার মায়ের সাথে রাগ করে বান্ধবীর বাসায় ছিল। পরে আমরা বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসা থেকে তাকে আজ বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) ভোরে উদ্ধার করেছি। বর্তমানে সেই ছাত্রীটি সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছে।’

ওসি কাজী নেওয়াজ আরও বলেন, ঢাকা থেকে গাজীপুরে খালার বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা সেখানে পৌঁছাননি তিনি। পরে খালার বাসায় না গিয়ে সেখান থেকে মোবাইল ফোন হারিয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরে তার বান্ধবীর বাসায় ছিল। সেখান থেকে আমরা তাকে উদ্ধার করে বাসায় পৌঁছে দিয়েছি।



এর আগে নাফিসা নেওয়াজ বিন্দুকে নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ‘ট্রেনে উঠে নিখোঁজ ইডেন কলেজ ছাত্রী!’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রচার করে। এরপর আজ পুলিশ বিন্দুকে উদ্ধার করে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর উত্তরা খালার বাসায় যাবার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে রওনা দিয়ে আত্মগোপনে যায় নাফিসা। কমলাপুর ট্রেন স্টেশন থেকে রাজশাহীগামী ট্রেনে উঠেন নাফিসা। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত উত্তরা স্টেশনে নামতে পারেনি তিনি।



বিকেলের দিকে বিন্দু তার মাকে শেষ বারের মতো ফোন দিয়েছিলেন। তখন তিনি বলেন ‘মা আমি উত্তরা স্টেশন মিস করে ফেলছি। এখন ট্রেন কোথায় আছে জায়গাটা চিনতে পারছি না। পরের স্টেশন এলে নেমে বাস ধরে যাবো।’

এরপর আবার ফোন করে মাকে নাফিসা বলেন মা আমি গাজীপুরের দিকে আছি (ট্রেনে)। কিছুক্ষণের মধ্যেই নাফিসার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তার মার। এরপর অনেকবার ফোন করলে নাফিসার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ নিয়ে যাত্রাবাড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিলো পরিবারের পক্ষ থেকে। ডায়েরি নং- ২৪৬। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যাত্রাবাড়ি থানার এএসআই নাজনীন হাসান।














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.