Beanibazarview24.com
অবৈধ পথে গ্রিস প্রবেশের চেষ্টাকালে বাংলাদেশী সহ ২০৯ অভিবাসীকে আটকে দিয়েছে তুরস্কের নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদেরকে আটক করে রাখা হয়েছে দেশটির ইদিরনি প্রদেশের একটি সেন্টারে। তবে এর মধ্যে বাংলাদেশী কতজন বা তাদের নাম, পরিচয় কি তা জানা যায় নি। সোমবার ওই সব অভিবাসী তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ইদিরনি প্রদেশ হয়ে গ্রিসে প্রবেশের চেষ্টা করছিল।
ওই অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশী ছাড়াও রয়েছেন আফগানিস্তান, পাকিস্তান, মরক্কো, তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া ও ফিলিস্তিনি নাগরিক। ইদিরনির কেন্দ্রীয় অংশে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য নির্মিত একটি সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদেরকে। এ খবর দিয়েছে তুরস্কের অনলাইন ডেইলি সাবাহ।
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিপুল সংখ্যক অভিবাসী তাদের দেশে গৃহযুদ্ধ অথবা অর্থনৈতিক কঠিন অবস্থার শিকার হয়ে প্রতি বছর উন্নত ভবিষ্যতের আশায় ইউরোপে পাড়ি জমান।
এ জন্য প্রথমেই তারা তুরস্কের ইদিরনিকে প্রাথমিক রুট হিসেবে বেছে নেন। তুরস্কের অভিবাসন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মহাপরিচালকের ডাটা থেকে দেখা যায়, এভাবে ইউরোপে পাড়ি জমানোর জন্য যেসব অভিবাসী যান তার মধ্যে বেশির ভাগই পাকিস্তান, সিরিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তানের। শীত নামার আগে গত গ্রীষ্মে ও শরতে তাদের সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। গ্রিসে পৌঁছানোর জন্য অভিবাসীরা মেরিক নদী পাড়ি দিতে সাধারণত বোট ব্যবহার করেন। আবার কেউ কেউ শুধু সাঁতরেই তীরে পৌঁছার চেষ্টা করেন।
বিপজ্জনক এজিয়ান সাগরের রুট ব্যবহার করে তুরস্ক থেকে গ্রিসে অভিবাসী যাওয়া বন্ধ করতে ২০১৬ সালে তুরস্ক ও ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির অধীনে তুরস্কের সমুদ্রতীর ব্যবহার করে যেসব অভিবাসী এজিয়ান দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি ধরা পড়েন তাদেরকে ফেরত পাঠায় গ্রিস। আর এর বিনিময়ে সিরিয়ার বিপুল সংখ্যক অভিবাসীকে আইনগতভাবে গ্রহণ করে ইউরোপীয়ান দেশগুলো।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.