Beanibazarview24.com
ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়ন ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যায় অভিযুক্ত অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলা ছেলেদের বলাৎকারও করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের লাইভে এসে এই অভিযোগ করেছন ফেনীর দৌলতপুরের আবুল বাশার নামের এক ব্যক্তি। বাশারের দাবি, তার দাদার প্রতিষ্ঠা করা এক মাদ্রাসার সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন সিরাজ এবং তখনই তিনি ওই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন।
আবুল বাশার বলেন, আজ একটা ঘটনা আমাকে লাইভে আসতে বাধ্য করেছে। আমি ধর্ষক সিরাজ উদ্দৌলা সম্পর্কে কিছু বলতে চাই। আমি ১৯৯৫ সালে বাড়িতে যাই। তখন সিরাজ উদ্দৌলা আমার দাদার প্রতিষ্ঠিত দৌলতপুর সালামাতিয়া মাদ্রাসার সুপার। ছাত্রদের পড়ানোর নাম করে তাদের মাদ্রাসার হোস্টেলে রেখে রাতে সমকামিতায় লিপ্ত হতেন।
তিনি আরও বলেন, একদিন বিকেলে নবম শ্রেণির এক ছাত্র আমাকে জানায়, মাদ্রাসার সুপার সিরাজ উদ্দৌলা আমার সঙ্গে রাতে সমকামিতায় লিপ্ত হয়। আমি এই ঘটনার বিচার দাবি করলে সিরাজ উদ্দৌলা আমার পেছনে লাঠিয়াল বাহিনী লাগিয়ে দেয়। আমি লাঠিয়াল বাহিনীকে প্রতিহত করতে পারলেও সুষ্ঠু বিচার করাতে পারিনি।
বাশার বলেন, বিচার করতে না পারার কারণ সিরাজ উদ্দৌলার দোসর, প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও বিএনপি নেতা মাহবুবল হক, বর্তমানে সোনাগাজীর সোনাপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও বর্তমান দৌলতপুর সালামাতিয়া মাদ্রাসার সুপার বজলুল করিম ও জেলা শিক্ষা অফিসারের প্রতারণার কারণে সুষ্ঠু বিচার হয়নি।
এ সময় তিনি নিহত নুসরাতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমি নুসরাত জাহান রাফির প্রতি কৃতজ্ঞ যে ১৯৯৫ সালে আমি যে বিচার করাতে পারিনি ২০১৯ সালে তুমি সেই বিচারের দাবি ভাইরাল করতে পেরেছ। তুমি দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলেও তোমার বিচারের দাবিতে সারা দেশ সোচ্চার।
ভিডিওটি দেথতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন…
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.