Beanibazarview24.com
রাস্তা থেকে ফুসলিয়ে এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মসজিদের এক ইমামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মো. মাহফুজুর রহমান (২১) নামের ওই ইমামকে আটক করেন পুলিশ।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন ওই ইমাম। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল ১০টায় কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার ছোট শালঘর দক্ষিণ পাড়ার বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদের ইমামের থাকার ঘরে। বর্তমানে ওই কিশোরী দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
অভিযুক্ত ইমাম দেবিদ্বার উপজেলার ভিরাল্লা গ্রামের (আবুল বাড়ির) মো. সাইদুল ইসলামের ছেলে এবং দেবিদ্বার থানাধীন ছোট শালঘর দক্ষিণ পাড়ার বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালন করছেন।
এ ঘটনায় ওই কিশোরীর ভ্যান চালক বাবা অভিযুক্ত মো. মাহফুজুর রহমানকে বাদী করে দেবিদ্বার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
কিশোরীর বাবা বলেন, আমার মেয়ে আমাদের পুরনো বাড়িতে যাওয়া-আসার পথে প্রায় সময়ই ওই ইমাম উক্ত্যাক্ত ও কুপ্রস্তাব দিত। ঘটনার দিন সকালে বাড়িতে যাওয়ার পথে ওই ইমাম রাস্তা থেকে ডেকে মসজিদের পূর্ব পাশে থাকার রুমের কাছে নিয়ে গিয়ে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে।
ভিকটিমের মা জানান, তার মেয়ে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষ করে বর্তমানে আর লেখা পড়া করে না। সে বাড়িতেই থাকে এবং গৃহস্থালীয় কাজ করেন।
তিনি আরও জানান, ওই কিশোরী বাড়ি যেয়ে তার মায়ের কাছে গোপানাঙ্গে রক্তপাতের কথা বললে মেয়ের বাবাকে তা জানান এবং তিনি দ্রুত দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন মেয়েকে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, মেয়েটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে আসলে আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করাই। মেয়েটির যৌনাঙ্গের রক্তক্ষরণ হয়েছে।
ইউপি সদস্য আলম হাজারী বলেন, ধর্ষণের কথা শুনে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে অভিযুক্ত ইমামের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। পরে দেবিদ্বার থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে অভিযুক্ত ইমামকে আটক করেন।
ওসি মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, ওই কিশোরী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ইমাম মাহফুজুর রহমান ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। ওই ইমামকে কুমিল্লা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.