Beanibazarview24.com
নাইওরপুল পয়েন্ট। গুরুত্বপূর্ণ এই পয়েন্টের প্রায় সারাদিনই লেগে থাকে যানজট। এই যানজটের মধ্যেই হঠাৎ পয়েন্টের পূর্বদিকে রাস্তার পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে তারের জটলায় সূত্রপাত হয় আগুনের। কয়েক মিনিটের মধ্যে পুরো খুটিতে জড়িয়ে থাকা টেলিফোন, স্যাটেলাইট ক্যাবল ও ইন্টারনেটসহ অন্যান্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর তারে আগুন জ¦লতে থাকে দাউ দাউ করে। সাথে সাথে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। ফাঁকা হয়ে যায় চৌরাস্তার ব্যস্ততম এই মোড়টি।
আগুনের তীব্রতা দেখে উপস্থিত অনেকেই ফোন দেন ফায়ার সার্ভিসে। বেলা প্রায় পৌণে ২টায় আগুন লাগলেও তালতলা থেকে নাইওরপুল পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছাতে সময় আধাঘন্টারও বেশি। বেলা ২টা ২৫ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা আসেন ঘটনাস্থলে।
ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই ঘটে যেতে পারতো বড় ধরণের ক্ষতি। পয়েন্টের পূর্বদিকে বিদ্যুতের খুটিতে জড়ানো তারে প্রথমে আগুন লাগলেও ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়তে থাকে। বিভিন্ন কোম্পানির তার পুড়ে পড়তে থাকে নিচে। এর কিছুক্ষণ পরই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুলিশ কমিশনার অফিসের ঠিক সামনের বৈদ্যুতিক খুটিতে। আশঙ্কা দেখা দেয় ওই খুটিতে থাকা বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণের। পুলিশের পক্ষ থেকেও ফায়ার এক্সট্রিংগুসার দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সফল হননি তারা।
ভয়াবহ এই অবস্থায় যেখানে ফায়ার সার্ভিসের খবর নেই, তখন আগুন নেভাতে এগিয়ে আসেন স্থানীয় কয়েকজন সাহসী যুবক। বালতি করে পানি নিয়ে এসে ছুঁড়তে থাকেন আগুনে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে সাহসী ভূমিকায় ছিলেন বিয়ানীবাজারের ছোটদেশ গ্রামের মৌলানা আাসাদ উদ্দিন’র ছেলে হাফিজ রহমত উল্লাহ। তার সাহসীকতার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। তাদের এই সাহসীকতা দেখে এগিয়ে আসেন আরো কয়েকজন। জনতার এই সাহসী প্রচেষ্টায় অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে আগুন। ট্রান্সফরমারের খুঁটির আগুনও কমে আসে।
এরপর বেলা ২টা ২৫ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে আগুন পুরোপুরি নেভাতে সক্ষম হন।
ফায়ার সার্ভিসের অপেক্ষা না করে সাহসী জনতা উদ্যোগী না হলে অগ্নিকান্ডে নাইওরপুল পয়েন্ট সংলগ্ন রামকৃষ্ণ মিশন ও সিলেট মহানগর পুলিশ সদর দপ্তরসহ আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মারাত্মক ক্ষতির শিকার হতে পারতো বলে মন্তব্য করেছেন উপস্থিত অনেকেই।
ভিডিওটি দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন…
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.