বড়লেখায় আত্মহত্যা করতে গিয়ে থানা হেফাজতে ঠাঁই হলো ষোড়শীর

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টাকারী পিতা-মাতাহীন ষোড়শীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে বাদি হয়ে ব্যতিক্রমী এ মামলাটি রুজু করেছেন থানার এসআই মিন্টু চৌধুরী। এদিন বিকেলে পুলিশ ওই ষোড়শীকে আদালতে সোপর্দ করলে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়েল ম্যাজিস্ট্রেট হরিদাস কুমারের আদালত তাকে সেভ কাস্টডিতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।



থানা পুলিশ ও ভিকটিম সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নিজবাহাদুর ইউপির নিজ বাহাদুরপুর গ্রামের ষোড়শী মেয়ে রুজি (ছদ্মনাম) পাশবিক নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। মামলাটি আদালতে চলমান থাকলেও কোনো অগ্রগতি ছিল না। গ্রামের লোকজনের নানা কটুক্তি, সমালোচনা ও পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে স্বজনদের হয়রানী আর মামলা সংক্রান্ত মানসিক চাপে ষোড়শী সোমবার দুপুরে নিজ বাড়িতে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে বিষপান করে।



মুমুর্ষ অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এদিকে আত্মহত্যা চেষ্টার অপরাধে তার বিরুদ্ধে থানার উপ-পরিদর্শক এসআই মিন্টু চৌধুরী বাদী ৩০৯ ধারায় থানায় মামলা করেন। চিকিৎসকের তাৎক্ষনিক চিকিৎসায় সে কিছুটা সুস্থ হলেও শেষ পর্যন্ত তার ঠাই হয়েছে সেভ কাস্টডিতে।



মামলার বাদি এসআই মিন্টু জানান, এতিম রুজি (ছদ্মনাম) তার নানা বাড়িতে থাকতো। এরপর সেখানে এক ছেলের সাথে তার প্রেম হয়। পরবর্তীতে ওই ছেলের বিরুদ্ধে সে ধর্ষণ মামলা করে। মামলার পর একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার পর থেকে গ্রামের লোকজনের নানা কটুক্তি, সমালোচনা করেন। এছাড়া নানা কারণে চাচারাও তার ওপর বিরক্ত হয়ে উঠেন। একারণে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।

বড়লেখা থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হক বলেন, আত্মহত্যা পেনাল কোড ৩০৯ ধারার শাস্তিযোগ্য একটি অপরাধ। প্রচলিত আইনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আত্মহত্যা চেষ্টাকারী ষোড়শীকে সুস্থ হওয়ার পর আটক করে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়।