Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

ফণী’র আতঙ্কের মধ্যেই ভূমিকম্প, মাত্রা ৪.২







বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ঘুর্ণিঝড় ফণী ইতোমধ্যে ওড়িশা, গোপালপুর ও পুরী উপকূলে সকাল সাড়ে ৯টার থেকেই প্রবল শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়েছে। জানা গেছে, ফণী’র আতঙ্কের মধ্যে সিমলা-সহ হিমাচলের বিস্তৃণ এলাকায় মৃদু ভূমিকম্প অনুভব করা গেছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.২।

শুক্রবার (৩ মে) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মান্ডি জেলার বেশ কিছু জায়াগায় মৃদু কম্পন অনুভব করা গেছে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর। এমন জোড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও, ভূমিকম্পের জেরে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানা গিয়েছে।



এদিকে বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অধিদফতরের দেওয়া তথ্যমতে, গোপালপুর ও পুরীতে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফণী’র প্রভাব পড়ার কথা থাকলেও তা পুর্বাভাসের আগেই সকাল ৮টার দিকে প্রভাব বিস্তার করতে দেখা যায়। এর পর সকাল নটার পরে ফণি আছড়ে পড়ে পুরীতে। ঝড়ের গতি ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার। ঝড়ের গতি দ্রুত বেড়েই চলছে। এই গতি সর্বোচ্চ ২১০ কিলোমিটার হতে পারে।



এদিকে ফণীর আঘাতে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ওড়িশার পুরী, গোপালপুরসহ বিভিন্ন এলাকা। পুরীর জগন্নাথ মন্দির সম্পূর্ণ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। যে পথে ফণী এগিয়ে যাচ্ছে সে পথে ওড়িশার ১০ হাজার গ্রাম এবং ৫২টি শহর পড়বে।

ফণীর যাত্রাপথ থেকে ১০ লাখ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে ওড়িশা সরকার। বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য ৪ হাজার ৮৫২ সাইক্লোন এবং বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। আপাতত, ওই ১০ লাখ মানুষের ঠাঁই হচ্ছে এই আশ্রয়কেন্দ্রই।



তবে শক্তিশালী এ ঝড়টিকে কেন্দ্র করে কন্ট্রোল রুম খুলেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব। ফণী নিয়ে খবরাখবর বা যে কোনও সাহায্যের জন্য হেল্পলাইন নম্বর ১৯৩৮-এ ফোন করতে বলা হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত বাতিল করে দেওয়া হয়েছে মোট ১৪৭টি ট্রেন।

৩৪টি বিপর্যয় মোকাবিলা দল, ত্রাণ সামগ্রীসহ চারটি উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিশাখাপত্তনম এবং চেন্নাইয়ে। বিশাখাপত্তনম, চেন্নাই, পারাদ্বীপ, গোপালপুর এবং পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া, ফ্রেজারগঞ্জ এবং কলকাতায় বিপর্যয় মোকাবিলা দল মোতায়েন থাকছে।

জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার-এর হিসাব অনুযায়ী, গত ২০ বছরে এই অঞ্চলের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সামুদ্রিক ঝড়ে পরিণত হয়েছে ফণী। এর আগে ১৯৯৯ সালে এই মাত্রায় পৌঁছানো সুপার সাইক্লোনে প্রায় ১০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলেন, ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল বিপুল।














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.