Beanibazarview24.com
কিশোরগঞ্জের মিঠামইন, ইটনা ও পাকুন্দিয়ায় বজ্রাঘাতে শিশুসহ চারজন মারা গেছেন। শুক্রবার (৩ মে) দুপুর ১২ থেকে সাড়ে ১২টার দিকে ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রপাত হয়। এতে ওই চারজন মারা যান।
মিঠামইনে ঝড়-বৃষ্টির সময় বাড়ির সামনের হাওর থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রাঘাতে সুমন মিয়া নামে ৭ বছরের একটি শিশু নিহত হয়। এসময় গরুটি মারা যায়। উপজেলার বৈরাটি ইউনিয়নের বিরামচর গ্রামের সামনের হাওরে বোরো ধান কাটতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মারা যায় মো. মহিউদ্দিন (২২)। ইটনায় ধান কাটার কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রাঘাতে রুবেল দাস (২৬) নামে এক যুবক মারা যায়।
স্থানীরা জানান, ধানকেটে বাড়ি ফিরছিলেন রুবেল। পথি মধ্যে বজ্রাঘাতে তিনি গুরুতর আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মুর্শেদ একথা জানান।
জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলায় গরুর ঘাস কাটতে গিয়ে আসাদ মিয়া (৪৫) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের কোষাকান্দা গ্রামে বজ্রাঘাতে এই প্রাণহানির ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, দুপুরে বাড়ির সামনের জমিতে ঘাস কাটছিলেন আসাদ মিয়া। তখন ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বজ্রপাত হয়। পাকুন্দিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াস এ তথ্য জানিয়েছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.