Beanibazarview24.com
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় দশম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী অবশেষে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেছে। বেশ কিছুদিন ধরে প্রেম চলছিল তাদের। এ নিয়ে পারিবারিক সমস্যাও চলছিল। অবশেষে দুই পরিবার নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে দিয়েছে ওদের।
স্থানীয় অভিযোগ, প্রশাসনকে জানিয়েও প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়নি তাদের এ বাল্য বিয়ে। এ বিষয়ে সুশীল সমাজে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
রৌমারী প্রেসক্লাবের সভাপতি সুজাউল ইসলাম সুজা জানান, উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের বাইটকামারী গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে আমিনুল ইসলাম (১৫) এবং যাদুরচর ইউনিয়নের কোমরভাঙ্গী গ্রামের সাবেক মেম্বার আছুর উদ্দিন মেয়ে চায়না খাতুনের (১৫) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের প্রেম নিয়ে সমস্যা চলছিল। পরে মেয়ের বাবা রাজিবপুর উপজেলার কোদাল কাটিতে তার আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান করে। সেখানে রবিউল মহুরির মাধ্যমে ছেলে-মেয়ের ছবি দিয়েই নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করার বিষয়টি শুনতে পেরেছি।
বিষয়টি জানার পর ৯৯৯ নাইনে ফোন দিয়েও কোনো কাজ না হওয়ায় স্থানীয় থানা পুলিশের ওসিকে বললেও তারা বিয়ে রোধে কোনো পদক্ষেপ নেননি। নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যাদুরচর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার সালাম।
কোমরভাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, আমিনুল ও চায়না দুজনেই আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। দুজনেই প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে স্কুল আসে না। স্কুল না আসার খোঁজ করতে গিয়ে জানতে পারি দুজনেই খাগড়াছড়িতে বেড়াতে গেছে। লোক মুখে তাদের বিয়ের কথা শুনতে পেরেছি। তবে পরিবারের কেউ কিছু বলেনি।
যাদুরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরবেশ আলী বলেন, আমার কাছে মেয়ের বাবা ছেলে-মেয়ের বিয়ের জন্য এসেছিল আমি বয়স কম দেখে রাজি হইনি। কিন্তু পরে কি হয়েছে সেটা আমার জানা নেই।
রৌমারী থানা পুলিশে অফিসার ইনচার্জ আবু মো. দিলওয়ার হাসান ইনাম জানান, খবর শুনে লোক পাঠানো হয়ে ছিল। কিন্তু তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে তারা বিয়ে করেছে কি-না আমার জানা নেই।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.