Beanibazarview24.com
হিজাব পরে স্কুলে গিয়েছিলেন বলে ১১ জন মুসলিম শিক্ষিকাকে শ্রীলঙ্কার একটি স্কুলে প্রবেশ করতে দেয়া হয় নি। রাজধানী কলম্বো থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পুওয়াকপিতিয়া তামিল মহাবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে মঙ্গলবার।
ওই শিক্ষিকারা স্কুল চত্বরে উপস্থিত হলে স্কুলের উন্নয়ন বিষয়ক সোসাইটির অভিভাবক সদস্যরা ও সাবেক শিক্ষার্থীরা তাদেরকে স্কুলে প্রবেশে বাধা দেয়। ওই শিক্ষিকাদেরকে বলা হয়, তারা যদি শাড়ি পরে আসেন তাহলেই মাত্র তাদেরকে স্কুলে প্রবেশ করতে দেয়া হবে।
এ নিয়ে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে দেশটির ওয়েস্টার্ন প্রদেশের গভর্নর আজাথ স্যালি এতে হস্তক্ষেপ করেন। তিনি ওই শিক্ষিকাদের অন্য একটি স্কুলে স্থানান্তরিত করেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আরব নিউজ।
এতে বলা হয়, এপ্রিলে শ্রীলঙ্কার তিনটি খ্রিস্টান চার্চ ও তিনটি অভিজাত হোটেলে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ২৬৮। আহত হয়েছেন কয়েক শত মানুষ। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষিকাদের সঙ্গে ওই আচরণ করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, মুসলিমদের ওপর সেখানে বিক্ষিপ্তভাবে হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে মাঝে মাঝেই।
উল্লেখ্য, ওই হামলার পর শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা নেকাব পড়া বা মুখ ঢেকে রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। তবে সুনির্দিষ্ট করে এতে আবায়া অথবা হিজাব পরার ওপর কোনো বিধিনিষেধ দেয়া হয় নি।
নিষিদ্ধ করা শিক্ষিকাদের পক্ষে ফাতিমা সাফিনা আরব নিউজকে বলেছেন, তিনি ওই স্কুলে ৬ বছরের বেশি শিক্ষকতা করছেন। তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে এতে তারা অপদস্ত বোধ করছেন। তিনি বলেন, হিজাব হলো আমার ইসলাম ধর্মীয় রীতির পোশাক। তারা এটা পরিবর্তন করে শাড়ি পরতে বলতে পারে না। এটা মানবাধিকারের লঙ্ঘন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.