Beanibazarview24.com
বউ পেটানোর দায়ে বাংলাদেশী এক ক’টনীতিককে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হচ্ছে। ১২ মে’র মধ্যে তাকে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করতে হবে। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের অফিস এ্যাসিস্ট্যান্ট (পাসপোর্ট ও ভিসা উইং ) দেলোয়ার হোসেন মুচলেকা দিয়েও ছাড় পেলেন না।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) এবং ওয়াশিংটনের পুলিশ কর্তৃক তদন্তের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কঠোর এই নির্দেশ জারি করে। দূতাবাসের মিনিস্টার ( প্রেস) শামীম আহমেদ ৯ মে বৃহস্পতিবার সকালে এনআরবি নিউজের এ সংবাদদাতাকে আরো জানান, ‘ঢাকায় পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন বিভাগের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারি দেলোয়ার হোসেন বছর দুয়েক আগে দূতাবাসে যোগদান করেছিলেন। এখন বউ পেটানোর কালিমা নিয়ে বউসহ তাকে ঢাকার সেই কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে।
তার বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কোনভাবেই তাকে আর যুক্তরাষ্ট্রে ঠাঁই দিতে চান না স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে বউ পেটানোর অভিযোগ দায়েরের পর বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে ওয়াশিংটন ডিসির পুলিশ। বাংলাদেশ মিশনও একটি ছায়া তদন্তে তিনজন কর্মকর্তাকে তার বাসায় পাঠায়। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে নিজেদের রক্ষায় ‘বিরোধ মিটিয়ে ফেলেছেন’ মর্মে মিশনকে অবহিত করেন এবং এমন আচরণ ভবিষ্যতে আর হবে না বলে যৌথ মুচলেকা দেন দেলোয়ার ও তার স্ত্রী।
বিষয়টি স্টেট ডিপার্টমেন্টকে তাৎক্ষণিক অবহিত করে বাংলাদেশ দূতাবাস। দেশে ফেরানো ঠেকাতে স্টেট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে দূতাবাসের কয়েক দফা চিঠি চালাচালি হয়। কিন্তু স্টেট ডিপার্টমেন্ট ওই অভিযোগকে ‘ক্রিমিনাল অফেন্স’ আখ্যা দিয়ে সর্বশেষ যে চিঠি পাঠায় সেখানে দেলোয়ার ও তার স্ত্রীকে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে নির্ধারিত সময় বেঁধে দেয়া হয়।
চিঠিতে স্টেট ডিপার্টমেন্ট স্পষ্টভাবে জানায়, দেলোয়ারের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল এলিগেশন প্রমাণিত হয়েছে, এজন্য তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.