Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

ঢাকা হাইওয়ে রেস্টুরেন্টঃ সিলেটি যাত্রীকে নিজ রেস্টুরেন্টে ইফতারি কিনে না খাওয়ায়! ইফতার করতে বাধা প্রধান







সড়কে সিলেটের যাত্রীরা এসমস্ত রেস্টুরেন্টে জিম্মি দীর্ঘ দিন থেকে। তাদের সাথে জড়িত সব ধরনের বাসের মালিক পক্ষ থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন, বিশেষ কমিশনের লোভে সিলেটের যাত্রীদের ইচ্ছে মত রেস্টুরেন্টে খাওয়া বাধ্য করে।

এসোব হোটেলে বাসী খাবার ,অধিক মূল্যে খাবার পরিবেষণ করা নিত্যদিনের রুটিন । দীর্ঘদিন থেকে এসমস্ত হোটেলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেও আজও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।



উল্লেখ্য গতকাল থকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোষ্ট ভাইরাল হয়েছে। সিলেট টু ঢাকা রোডের হাইওয়েতে একজন ভুক্তভোগী কোন প্রতিকার না পেয়ে ‘পাকঘর রেস্টুরেন্ট ‘ নামে একটি রেস্টুরেন্টের মালিক কতৃক ইফতারের সময় লাঞ্ছিত হওয়ার কারনে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগটি পোষ্ট করলে তা রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায় । পাঠকের সুবিধার্থে তা হুবহু তোলে ধরা হলো ।

এখানে উল্লেখ্য যে পোষ্টটি ভুক্তভোগীর একান্ত ব্যক্তিগত থাকায় নিজের মতামত ব্যক্তি স্বাধীন থাকায় ধরুন আমরা- বানান,উচ্চারন,শব্দ প্রয়োগে কোন ধরনের সম্পাদনায় হাত দেইনি। ফেইসবুক থেকে হুবহু নেয়া …



ভুক্তভোগী – কায়সার আহমেদ সাব্বিরঃ-

শেরপুর স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য চাচ্ছি।

গতকাল সিলেট থেকে আসার পথে আমাদের বাস(এনা) এই রেস্তোরাঁয় দাঁড়ায় ইফতারের জন্য। যথারীতি সবাই নামে কিন্তু ফুড আইটেম এবং দাম অনেকের পছন্দ হয়না। তাই তারা খুচরা করে ইফতারের আইটেম নেয়। হুট করে মালিক চলে আসে, এবং স্টাফদের গালিগালাজ করে। কেন আমাদেরকে স্টাফরা খাবার দিলো?

আমি বললাম ইফতারি দিছে এতে কি হইছে? সে বললো, যদি এখানে খাই তাহলে তার ১৯০ টাকার প্যাকেজটাই খেতে হবে, অন্য কিছু খাওয়া যাবে না। এখানে বলতে হয়, তার ইফতারের আইটেম ১৯০ টাকা হিসেবে কিছুই ছিল না। কেউ হয়তো ২০ টাকার ছোলা, ২০ টাকার পিয়াজি, ২০ টাকার জিলাপি নিয়েছিল। আমি ২০ টাকার ছোলা এবং ২/৪ টা পিয়াজি এবং ২০ টাকার জিলাপি নিয়ে আজানের জন্য অপেক্ষা করছিলাম, সাথে আরো কয়েকজন ছিল।



You Can’t Believe….!
দোকানের মালিক আমাদের হাত থেকে ইফতারির প্লেটটা টান মেরে নিয়ে নিলো ! জাস্ট অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি।
আজান দিলো। অই হোটেলের পাশেই একটা ছোট্ট চা বিড়ির দোকান ছিল, আমরা কথা না বাড়িয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়লাম, কিছু একটা দিয়ে রোজা ভাংতে হবে। কেউ বিস্কিট কিনলো কেউ বা একটা পানি কিংবা চানাচুর নিলো।

আমাদের মালিক এখানেও হাজির, স্ট্রেইট গালি দিলো দোকানদারকে। ইফতারির সময় তার দোকান বন্ধ করার জন্য হুমকি দিয়ে গেল। আমাদের মধ্যে একজন চেতলো। মালিক বললোঃ ভাই খাইলে খান নইলে ঝামেলা বাধায়েন না, আর ঠাস ঠুস দুই চারটা ইংলিশ মেরে দিলো।



আজান শেষ। কেউ একটা বিস্কিট, কেউ এক মুট চানাচুর, কেউ এক ঢোক পানি, কেউ বা সিগারেটের একটা টান দিয়ে রোজা ভাংলো, শুনতেই খারাপ লাগতেছে তাইনা? আমাদের ড্রাইভার, আর সুপারভাইজার ঠাসায়া খাইতেছে তখন। হোটলের লোক গুলা কেমন করে যেন আমাদের এই ১৫-২০ জনের দিকে তাকায়া ছিল ওদের কাছে টাকা নাই? ওরা কি রোজা রাখে নাই? এরকম ভাব ছিল।

একতাই বল, শুনছেন না? এবার ১০/১২ জন মিলে ড্রাইভার আর সুপারভাইজারকে ধরলাম।
আপনি কি এখানে ফ্রি খান? শেরপুরে এত বড় বাজার থাকতে আপনি এখানে খান কেন? আপনাদের মধ্যে কন্টাক্ট কি?
সুপারভাইজার এর অমায়িক উত্তর আমরা চাইলে বাংলাদেশের সব হোটেলে ফ্রি খাইতে পারি, এখানের খাবার ভাল বলেই দাড়াই, এই যে দেখেন সবাই খাইতাছে।

আমরা সবাই এবার আমাদের সোজা আঙ্গুল টা ব্যাকা করে ফেললাম। সিলেটের স্থানীয় কয়েকজন ক্ষেপে গেল। ড্রাইভার আর আর সুপারভাইজার তখন আছে সরির উপরে। সিনেমার মেইন ভিলেন আর তার ভাই( হুজুর টাইপ) আসলো শেষে মাফ চাইতে। তখন তারা ফ্রি ইফতার করাতে চাইলো, আবার বিভিন্নভাবে তাদের হোটেলের রুলস বুঝানো শুরু করলো।



আমাকে সাইডে নিয়ে গিয়ে বলে ভাই আপনি খান, ইফতারি করেন, টাকা দিতে হবে না। আমি ডিরেক্ট মানা করে দিলাম। আমার সাথে আরো ১৫ জন ছিল তারা ইফতার করতে পারিনি, আমি কেনো করবো৷ মাফ চাইলো অনেক বার, ইফতারির আগের ব্যবহার আর পরের ব্যবহার সম্পুর্ণ আলাদা। কারন তারা চাচ্ছিল এ যাত্রায় ঝামেলা মিটে যাক কোনভাবে।

আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন এই ঝামেলা কয়দিন পোহাবে সাধারণ মানুষ? যাদের পকেটে কম টাকা তারা কই খাবে? যাদের পকেটে টাকা আছে, তারাও কি টাকা অনুযায়ী খাবার পেল। খাবার নিয়েও পলিটিক্স, ইফতারি নিয়েও সিন্ডিকেট।
ইফতারের সময় আমরা মানুষ ডেকে ডেকে একটা পিয়াজি, একটা বেগুনি হাতে দেই, নে বাবা যতটুক আছে খা। আর এইসব লোভী ব্যবসায়ী হাত থেকে ইফতারির প্লেট নিয়ে যায়।

বাস কোম্পানী কিংবা সুপারভাইজার এর পছন্দের হোটেল গুলোর কাছে আমরা সাধারণ মানুষ বন্দী। আপনাদের জন্য পরামর্শ-পাকঘর হোটেলটা এড়িয়ে চলুন। শেরপুর স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ এইসব ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসুন। প্লিজ। আমার এই ২৭ বছরের জীবনে এই প্রথম কেউ আমার হাত থেকে ইফতারির প্লেট টান দিয়ে নিয়ে গেলো। সহ্য করা কঠিন, খুব কঠিন।














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.