Beanibazarview24.com
দু চোখে স্বপ্নে ছিলো ইটালিতে যাওয়ার আর তা পূরণ করার জন্যে ৮ লাখ টাকায় যুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন একই উপজেলার বেশ কয়েক জন যুবক । কিন্তু সেই স্বপ্ন ,স্বপ্নই রয়েগেল যাওয়া হলো না স্বপ্নের দেশ ইউরোপে। পথিমধ্যে ঘটল দুর্ঘটনা নিস্তেজ হয়ে গেলো পুরো শরীর । বলছি সাগরে ট্রলার ডুবে মৃত্যু হওয়া সিলেটের যুবকদের কথা ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় সিলেটের জিন্দাবাজারস্থ রাজা ম্যানশনের তৃতীয় তলার ইয়াহিয়া ওভারসীজ নামের একটি এজেন্সির সাথে ৮ লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কয়েকজন যুবক। ঘটনার পর আর খোলা হয়নি রাজা ম্যানশনের তৃতীয় তলার ১১৭ নম্বর দোকান ইয়াহিয়া ওভারসীজ।
এজেন্সিটির মালিকের নাম এনাম আহমদ। তার বাড়িও ফেঞ্চুগেঞ্জে। রবিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত একাধিকবার গিয়েও এজেন্সিটিতে তালা ঝুলছে দেখা যায়। তাদের ব্যবহৃত সবকটি মোবাইল নম্বরই বন্ধ।
মৃতের স্বজনরা জানিয়েছেন- ঘটনার পর আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি এনাম আহমদের। তাদের দাবী তিনি পলাতক।
এ বিষয়ে রাজা ম্যানশন ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাসুদ আহমদ জানান , প্রায় দুই-আড়াই বছর ধরে রাজা ম্যানশনে ইয়াহিয়া ওভারসীজ নামে ব্যবসা করছেন এনাম আহমদ। পূর্বে অন্য একটি মার্কেটে তার অফিস ছিল। ইটালি যাওয়ার পথে সিলেটের যুবকদের মৃত্যুর বিষয়টি শুনে তিনি শোকাহত। মার্কেটে গিয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেবেন বলে জানান তিনি।
লিবিয়া থেকে সাগর পথে ইটালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে ট্রলার ডুবিতে মৃত এখন পর্যন্ত সিলেটের ৬ জনের পরিচয় শনাক্ত হওয়া গেছে। এদের মধ্যে চারজনই ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার। তারা হচ্ছেন- উপজেলার সেনেরবাজার কটালপুর এলাকার মুহিদপুর গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে আহমদ হোসেন (২৪), একই গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে আব্দুল আজিজ (২৫), সিরাজ মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া (২৪) ও মানিকোনা গ্রামের মৃত রফিক উদ্দিনের ছেলে আফজাল মোহাম্মদ (২৫)।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.