Beanibazarview24.com
ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ রয়েছেন বিয়ানীবাজারের যুবক সাহেদ আহমদ খান (৩২)। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে লিবিয়ার উপকূল থেকে ৭৫ জন অভিবাসী একটি নৌকা করে ইতালির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
নিখোঁজ সাহেদ বিয়ানীবাজাার উপজেলার চারখাই ইউনিয়নের কচকট খা গ্রামের সাব্বির আহমদ খানের পুত্র। সাহেদ সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার পারভেজ আহমদ নামের দালালের সাথে সাড়ে ৭ লক্ষ টাকার চুক্তিতে ইতালি যাবার জন্য ৩ মাস আগে বাড়ি থেকে রয়ানা হন।
নিখোঁজ সাহেদের ভাই জাহেদ আহমদ খান জানান, আমার বড় ভাই সাহেদ আহমদ খান লিবিয়া হয়ে ইতালি যাবার উদ্দেশ্যে সম্ভবত ওই ট্রলারে ছিলেন। বৃহস্পতিবারের পর থেকে ভাইয়ের সাথে আমরা কোন যোগাযোগ করতে পারছি না। ভাইয়ে খবর নিতে দালাল পারভেজ আহমদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
জাহেদ আরো জানান- আমার ভাই এখনো বাড়িরর কারো সাথে ফোনে যোগাযোগ করেননি। নৌকাডুবির ঘটনা জানার পর থেকে আমাদের মা, তার স্ত্রী ও এক সন্তানসহ পরিবার-পরিজনদের মধ্যে দুঃসংবাদের শঙ্কা কাজ করছে।উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া সমুদ্র উপকূলে শতাধিক অভিবাসী বহন করা নৌকাটি ডুবে গেলে প্রায় ৬০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার সিলেটের ৬ যুবক নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বেঁচে যাওয়া লোকজন তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্টকে জানিয়েছে, লিবিয়া উপকূল থেকে ৭৫ জন অভিবাসী একটি বড় নৌকায় করে ইতালির উদ্দেশে রওয়ানা হন। রাবারের তৈরি ‘ইনফ্লেটেবেল’ নৌকাটি ১০ মিনিটের মধ্যে ডুবে যায়। তিউনিসিয়ার জেলেরা ১৬ জনকে উদ্ধার করে শনিবার সকালে জারযিজ শহরের তীরে নিয়ে আসে। উদ্ধার হওয়া ১৬ জনের ১৪ জনই বাংলাদেশি। উদ্ধার হওয়া অভিবাসীরা জানান, ঠাণ্ডা সাগরের পানিতে তারা প্রায় আট ঘণ্টা ভেসে ছিলেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.