Beanibazarview24.com
বাংলাদেশ থেকে ৯ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তিনি। নিউ ইয়র্ক শহরে ট্যাক্সি চালান হক। ২০১৪ সালে একটি ফোন কলে তার জীবনে বিপর্যয় নেমে আসে।
ফোন কলটি এসেছিল এক বিশিষ্ট ব্যবসায়ীর কাছ থেকে- যিনি মেডেলিয়ান গাড়ি বিক্রি করছিলেন। হক অন্যের গাড়ি না চালিয়ে নিজেই একটি হলুদ ক্যাবের মালিক হতে চাইলেন।
লোকটি তাকে এই বলে প্রতিশ্রুতি দেন যে, তিনি যদি তাকে ওইদিন ৫০ হাজার ডলার দেন তবে গাড়ির জন্য ঋ.ণে.র ব্যবস্থা করে দেবেন।দীর্ঘদিন ধরে অন্যের অধীনে কাজ করছিলেন হক।
তিনি ভেবেছিলেন যে, তিনি যে সম্পদ ও স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন তা সত্যি হতে যাচ্ছে। তিনি তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট শূণ্য করে, বন্ধুদের কাছ থেকে ধারদেনা যা পেলেন সব অর্থ লোকটি হাতে তুলে দিলেন।
এরপর তাকে নথিপত্র ধরিয়ে দেওয়া হলে সেখানে স্বাক্ষর করে দেন তিনি। মোহাম্মদ হক ৩০০০০ ড.লা.রের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করলেও পরে জানতে পারেন যে তাকে এর জন্য ১ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার অর্থ প.রি.শো.ধ করতে হবে।
এই ধরনের ফাঁ.দে পড়ে নিউ ইয়র্কের বেশ কয়েকজন প্রবাসী ট্যাক্সি ড্রাইভার আ.ত্ম.হ.ত্যা করেছেন। মেডলিয়ান গাড়ির মালিক হতে গিয়ে তাদের ঋ.ণ.গ্র.স্ত ও আ.র্থি.ক স.ঙ্ক.টে পড়তে হয়েছে। উবার ও লিফট নামের রাইড শেয়ারিং কম্পনিগুলোর প্রতিযোগিতাই এই স.ঙ্ক.টের জন্য দা..য়ী বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।
এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকার, ব্রো.কা.র, আইনজীবী, বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক মুনাফা অ.র্জ.ন করেছেন। শুধু তাই নয়, নন-প্রফিট ক্রেডিট ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ এর মাধ্যমে কোটিপতি হয়েছেন। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রবাসী পরিবারগুলো তাদের সারাজীবনের সঞ্চয় খুইয়েছে। ঋ.ণ গ্রহীতা গাড়ির চালকেরা ঋ.ণ প.রি.শো.ধ করতে পারেননি।
আদালতের নথি অনুযায়ী টাইমস-এর বিশ্লেষণ বলছে, ৯৫০-এরও বেশি মেডেলিয়ান মালিক দেউলিয়া হয়ে গেছেন। আরো হাজারো চালক দে.উ.লি.য়া হওয়া পথে রয়েছেন।
সূত্র : নিউ ইয়র্ক টাইমস
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.