Beanibazarview24.com
নরসিংদী শহরের কাউরিয়াপাড়া নতুন লঞ্চঘাটের টয়লেট থেকে দুই কন্যা শিশুর লাশ পাওয়া গিয়েছে। দুই শিশুর নাম নুসরাত জাহান তাইন (১০) ও তানিশা তাইয়েবা (৪)। এই দুই কন্যা শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে তাদের বাবা শফিকুল ইসলাম।
এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নরসিংদীর পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান তিনি।
ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, নিহত দুই শিশুর বাবা শফিকুল ইসলাম ও তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শফিকুল ইসলাম পূর্ব থেকেই মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলো। শনিবার সে তার দুই মেয়েকে মনোহরদী থেকে শিবপুরে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে আসে। সেখানে ডাক্তার না থাকায় নরসিংদী সদরে ঘুরতে আসে মেয়েদের নিয়ে। পরে বড় মেয়ের আবদার অনুযায়ী নরসিংদী কাউরিয়াপাড়া নতুন লঞ্চ ঘাট দেখতে আসে তারা।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, ‘তার কথাবার্তায় নানা রকমের অসঙ্গতি দেখেছি। সে জানিয়েছে পারিবারিক দারিদ্র্য, মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ না দিতে পারা, আবদার অনুযায়ী মেয়েদের নতুন জামা দিতে না পারা সবকিছু মিলিয়ে মানসিক হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সে। প্রথমে ছোট মেয়েকে লঞ্চ ঘাটের একটি টয়লেটে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে বড় মেয়েকে একই টয়লেটে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে ঘটনাস্থলে এসে তাদের নিজের সন্তান দাবি করলেও তার কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তাকে আটক করা হয়।’
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। নিহতদের মৃতদেহ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গতকাল রাত ৮টার দিকে নরসিংদী কাউরিয়াপাড়া নতুন লঞ্চ ঘাটের টয়লেটের ভিতর থেকে দুই কন্যা শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত দুই কন্যা শিশু মনোহরদী উপজেলার পূর্ব চালাকচর গ্রামের শফিকুল ইসলামের কন্যা। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের পিতা শফিকুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
সূত্রঃ ইত্তেফাক
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.