Beanibazarview24.com
সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত নামে নগরে। আর তখন রাজধানীর অভিজাত এলাকার নির্দিষ্ট কিছু বাড়িতে আগমন ঘটে এক রহস্যময় আগন্তুকের। কখনো নিজেকে ওমান প্রবাসী ডাক্তার, কখনো যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী বলে পরিচয় দেয়। বাড়ির যে সদস্যটি বাসায় অনুপস্থিত নিজেকে পরিচয় দেয় তার বন্ধু হিসেবে।
গল্পের ছলে তুলে ধরে পরিবারের আদ্যোপান্ত সব। তখন আর তাকে অবিশ্বাসের কোনো কারণ থাকে না। সরল বিশ্বাসে তাকে প্রবেশ করতে দেয়া হয় বাসায়। এই পর্যায়ে নানা ছলচাতুরী করে সোনাদানা নগদ অর্থ নিয়ে কেটে পরে সে।
এমনই অভিনব কায়দায় মানুষকে সম্মোহিত করে চু’রির সঙ্গে জড়িত অভিযোগে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে দুই নারীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে প্রায় ১১ ভরি স্বর্ণসহ নগদ আড়াই লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, এই চক্রটি মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলে হাতিয়ে নিতো সর্বস্ব। এই চক্রের প্রধান তানিয়ার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১৫টি মামলার সন্ধান পাওয়া গেছে।
রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে এমন অভিনব চু’রির সঙ্গে জড়িত অভিযোগে গ্রেফতার হয় তানিয়া। এছাড়া তার বাসার গৃহকর্মী, চু’রির কাজে সহায়তা করা উবার চালক এবং সোনার দোকানের কর্মচারীও আটক হয় তার সঙ্গে।
পুলিশ বলছে, তানিয়ার চু’রি করা স্বর্ণ অল্পদামে কিনতো দোকান কর্মচারী রায়হান। আর এগুলো তার কাছে নিয়ে যেতো বাসার গৃহকর্মী।
তানিয়ার হাতে এমন অভিনব পন্থায় চু’রির শিকার ভুক্তভোগী নাসির বলেন, দারোয়ানকে ওই মহিলা বলেন আমি নাসির সাহেবের বান্ধবী। তার বাবা মাকে দেখতে এসেছি এবং একটা বিয়ের দাওয়াত দিতে এসেছি।
পুলিশ বলছে, গাজীপুরের চন্দ্রার বাসিন্দা তানিয়ার স্বপ্ন ছিলো চলচ্চিত্রের নায়িকা হওয়ার। আর সেই স্বপ্ন তাড়া করতে গিয়ে জড়িয়ে পড়ে অপরাধের অন্ধকার জগতে। তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১৫টি মামলার হদিস মিলেছে।
এই ধরনের অপরাধীদের তৎপরতা বন্ধে কারো সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার আগে সচেতন হওয়ার পরামর্শ পুলিশের।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.