Beanibazarview24.com
চালু হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই বন্ধ করে দেয়া হল সৌদি আরবের ‘হালাল নাইটক্লাব’। আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ না করায় এটি বন্ধ করে দেয় সৌদি কর্তৃপক্ষ। সৌদি সংস্কৃতি বিভাগ একটি টুইট বার্তায় জানায়, নাইটক্লাবটি খুলতে লাইসেন্স নেওয়া হয়নি। এটি পুরোপুরি আইনি প্রক্রিয়ার লঙ্ঘন।
গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই নাইটক্লাবটি চালুর কথা থাকলেও দেশটির অধিকাংশ নাগরিকের আপত্তির মুখে উদ্বোধনের রাতেই এটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
সম্প্রতি জেদ্দায় বিখ্যাত ব্র্যান্ড নাইটক্লাব হোয়াইটের কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেয়া হলে বিষয়টি নিয়ে সৌদি নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
পবিত্র নগরী মক্কা শহরের পাশে এমন কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে দেশটির অধিকাংশ নাগরিকই অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। হালাল নাইটক্লাবের খবর প্রকাশিত হলে বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের মাঝেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়।
গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই নাইটক্লাবের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যাতে হোয়াইটের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে কথা বলতে শোনা যায়। বিনোদনের জন্য ডিস্কোকে একটি সম্মানিত কাজ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
এমন আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে সৌদি আরবের সংস্কৃতি বিভাগ একটি টুইট বার্তায় জানায়, অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ওই নাইটক্লাবের ভিডিওটি দৃষ্টিগোচর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সংস্কৃতি বিভাগ এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
নাইটক্লাবটি খুলতে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়া হয়নি বলেও জানানো হয়।
এদিকে নাইটক্লাবটির উদ্বোধনী শোতে অংশ নিতে মার্কিন শিল্পী, গীতিকার নে ইয়োকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। নাইটক্লাবটির অনুমতি বাতিল করায় মাঝপথ থেকে ফিরে যান তিনি।
এ বিষয়ে ইন্সটাগ্রামে ভক্তদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন নে ইয়ো বলেন, জেদ্দার মানুষের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি, আমি পথেই ছিলাম। এরইমধ্যে জানতে পারলাম কর্তৃপক্ষ নাইটক্লাবটি বন্ধ করে দিয়েছে। আমি আশা করছি অন্যকোনো সময়ে আমাদের দেখা হবে। জেদ্দার হোয়াইটদের প্রতি আমার ভালোবাসা রইল।
ধর্মীয়ভাবে রক্ষণশীল দেশ হিসেবে পরিচিত সৌদি আরবে এতদিন সিনেমা, নারীদের গাড়ি চালানোসহ বিভিন্ন বিষয় ধর্মীয় কারণে নিষিদ্ধ ছিল। দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ‘কট্টরপন্থা’ উপড়ে ফেলে ‘মধ্যপন্থার’ ইসলাম ধর্মে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন।
সেই ধারাবাহিকতায় দুবাই ও বৈরুতের বিখ্যাত ব্র্যান্ড নাইটক্লাব হোয়াইট সৌদি আরবের জেদ্দায় হালাল নাইটক্লাব চালুর ঘোষণা দিয়েছিল।
এ হালাল নাইটক্লাবে বিশ্বের খ্যাতনামা মিউজিক গ্রুপের পরিবেশনা ও সুস্বাদু খাবারের ব্যবস্থা করা হলেও মদ বা অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় নিষিদ্ধ ছিল।
ড্যান্সে আগ্রহী নারী-পুরুষ সবার জন্য উন্মুক্ত রেখে ওই নাইটক্লাবের লাউঞ্জের একটি অংশে ড্যান্স ফ্লোর রাখা হয়েছিল।
শুরু থেকে নাইটক্লাবটির বিষয়ে নীরব রয়েছে সৌদি মিডিয়াগুলো। আরব নিউজ, আল আরাবিয়া, আশ-শারকুল আওসাতসহ সৌদির শীর্ষস্থানীয় কোনো মিডিয়া এ নিয়ে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.