Beanibazarview24.com
হাসপাতালের ওয়ার্ডে দায়িত্বে ছিলেন নার্স ও চিকিৎসক। কিন্তু তারা ছিলেন ঘুমে। রোগীর স্বজনরা তাদের ঘুম থেকে ডেকে তুলতে পারেননি। তাই চিকিৎসা না পেয়ে মারা যায় শিশুটি। নার্স ও চিকিৎসকের অবহেলায় শিশুমৃত্যুর এমন অভিযোগ করেছেন শিশুর মা ও বাবা।
সোমবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগে শিশুমৃত্যুর বিচার দাবি করেন তারা।
শিশুর পিতা শহরতলির বিমানবন্দর এলাকার কাকুয়ারপাড় এলাকার পবিত্র গোস্বামী ও তার স্ত্রী জয়ন্তী গোস্বামী লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, তাদের দুই বছর সাত মাস বয়সী ছেলে আর্য গোস্বামীকে প্রস্রাবের পথে সমস্যার কারণে গত রোববার রাত ৮টায় ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের শিশু সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করেন।
ওই দিন রাত ১টার দিকে সে রক্তবমি করে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসক ও নার্সের রুমে গিয়ে তারা অনেকবার ডাকাডাকি করেন। কিন্তু তাদের ঘুম থেকে জাগানো যায়নি।
এমনকি ওই সময় ওয়ার্ডের গেটের নিরাপত্তাকর্মীও খারাপ আচরণ করেন। প্রায় তিন ঘণ্টা পর ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে চিকিৎসক ও নার্স ঘুম থেকে উঠে অপিজেন নিয়ে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে তাদের শিশুসন্তান আর্য গোস্বামী মারা যায়।
পবিত্র গোস্বামী সমকালকে বলেন, আমার সন্তানটি মারা যাওয়ার পরও ওষুধ নিয়ে আসার জন্য বলা হয়। এমন আচরণ যাতে আর কোনো পিতা-মাতার সঙ্গে না করা হয়। আমি সংশ্নিষ্ট ডাক্তার ও নার্সের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়ার পরও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. দেবপদ রায় বলেন, তিনি অভিযোগের বিষয়ে অবগত নন। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
সূত্র: সমকাল
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.