Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

কুড়িয়ে পাওয়া সেই শিশুটিই এখন পাইলট!

0









কুড়িয়ে পাওয়া সেই শিশুটিই এখন পাইলট, পোলিও আক্রান্ত যে ছেলেটিকে নিয়ে আর পা এগোয়নি সর্বস্বান্ত মা-বাবার।

ভারতের কলকাতারই কোনো একটি রাস্তা। চিকিৎসার অর্থ জোগাতে পারবেন না জেনে ছেলেকে রেখেই নিরুদ্দেশ হন মা-বাবা।

রাস্তায় পড়ে থাকা ছেলেটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় মাদার তেরেসার মিশনারিজ অব চ্যারিটিতে। ঠাঁই মিলল নতুন মাদারের (মায়ের) কোলে।

শিশু ভবনে দুই বছর কাটে গৌতমের। পরে তাকে পাঠানো হয় রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার ফর চিলড্রেনে। তার দিকে হাত বাড়িয়ে দেন নিউক্লিয়ার ফিজিসিস্ট প্যাট্রিসিয়া লুইস।

গৌতমের বিস্ময়কর উত্থানের খবর রোববার প্রকাশ করেছে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা।

প্যাট্রিসিয়ার হাত ধরেই ইংল্যান্ডে পাড়ি দেয় গৌতম। মাদার হাউজের অনাথ শিশু তখন প্যাট্রিসিয়ার দত্তক ছেলে। গৌতম নামের সঙ্গে যোগ হলো লুইস- গৌতম লুইস। নতুন নাম, নতুন ঠিকানা।



ইংল্যান্ডের বেডলস স্কুলে শুরু হয় গৌতমের পড়াশোনা। ধীরে ধীরে বিজনেস ডিগ্রি পাস করে নিজেকে ডুবিয়ে দেন সঙ্গীতচর্চায়।

তখনো বাকি ছিল স্বপ্নপূরণ। শিশু ভবনের ছাদ থেকে আকাশ দেখা। সেই দেখা থেকেই আকাশের উড়ার স্বপ্ন ছিল গৌতমের। মাত্র ছয় মাসের মধ্যে পাস করে ফেলেন পাইলট হওয়ার সব গ্রাউন্ড ও এয়ার এগজামিনেশন।

সময়টা ২০০৭ সাল। পোলিও’র ভয়ানক প্রকোপ কাটিয়ে উঠে দাঁড়াতে পেরেছেন বটে, কিন্তু এই ৩০ বছর বয়সেই ক্রাচ গৌতমের সর্বক্ষণের সঙ্গী।

সবকিছুকে জয় করে ওই বছরেই গৌতম তৈরি করেন ‘ফ্রিডম ইন দ্য এয়ার’- শারীরিকভাবে অক্ষমদের জন্য ফ্লাইং স্কুল। ব্রিটেনের প্রথম এ ধরনের স্কুল। হার্টফর্ডশায়ারের এলসট্রিতে শারীরিকভাবে অক্ষমদের বিশেষ ফ্লাইং ট্রেনিং দেয় এই স্কুল।



এর পাশাপাশি ইউনিসেফের সঙ্গে পার্টনারশিপে গ্লোবাল পোলিও ইরাডিকশন ইনিসিয়েটিভের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরও হন গৌতম।

কলকাতার যে রাস্তায় অসহায় মা-বাবা গৌতমকে ফেলে রেখে গিয়েছিলেন, সেখানে কিছু সময়ের জন্য ফিরে এসেছিলেন তিনি। করেছেন বস্তিতে মোবাইল ভ্যাক্সিনেশনের মাধ্যমে সচেতনতা গড়ে তোলার কাজ।

রাস্তার অনাথ শিশুটি এখন পাইলট- নিজের এ বদলে যাওয়া জীবনের অবদান মাদার তেরেসাকে দিতে চান গৌতম। তাই মাদারকে নিয়ে তৈরি করেছেন এক ঘণ্টার তথ্যচিত্র ‘মাদার তেরেসা অ্যান্ড মি’।



গৌতমের ভাষায়, ‘মাদার আমার ঈশ্বর। মাদারই আমায় আকাশ দেখিয়েছিলেন। আজ সেই আকাশের কোলে যে আশ্রয় পাই তা তো আসলে মাদারেরই আশ্রয়!’

মানবসেবায় জীবন উৎসর্গকারী ‘মাদার’ তেরেসাকে ‘সেন্টহুড’ বা বা ‘ঈশ্বরের দূত’ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। রোববার ভ্যাটিকান কর্তৃপক্ষ তাকে এ সম্মাননা জানান। পোপ ফ্রান্সিস আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে ‘সেন্ট’ ঘোষণা করেন।





You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.